সংক্ষিপ্ত
- সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্কের উন্নতি
- মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বরফ গলার ইজ্ঞিত
- সংঘাত মেটার কথা রাজ্যপালের গলায়
- বিবাদ মেটাতে আলোচনাতেই ভরসা রাজ্যপালের
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের নানা বিষয়ে বিবাদ দানা বেঁধেছে। কখনও হেসিকপ্টার ইস্যু, কখনও আবার কার্নিভ্যাল, আবার কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলেছে দুই পক্ষে। নানা বিষয়ে একাধিকবার রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে বিবাদ মেটাতে তিনি প্রস্তুত বলেও বারবার দাবি করে এসেছেন ধনকড়। তাই কালীপুজোর দিন সস্ত্রীক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও গিয়েছেন তিনি। তবুই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্দে দূরত্ব কমেনি সরকারে। তবে এবার নাকি পরিস্থিতিটা পাল্টেছে। এমনটাই দাবি করছেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
আরও পড়ুন: নতুন করে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে
দিন কয়েক আগেই রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকও করেন মমতা। এই বৈঠককে সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত বন্ধ হওয়ার প্রাথমিক ধাপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই ধারণা যে ভুল নয়, তার প্রমাণ পাওয়া গেল রাজ্যপালের কথায়। শ্রীরামপুরে এক অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বরফ গলেছে। বিবাদ মেটাতে আলোচনাই একমাত্র রাস্তা।
আরও পড়ুন: যাত্রী বোঝাই বাসকে ধাক্কা মারল লরি, ভয়াবহ দুর্ঘটনা তামিলনাড়ুর জাতীয় সড়কে
শ্রীরামপুরে শিবশঙ্কর জীউ-এর পারিবারিক মেলার উদ্বোধনে এসে রাজ্যপাল বলেন, "অর্থমন্ত্রী এসেছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী দু'বার এসেছেন, মুখ্যমন্ত্রীও এসেছিলেন দু'দিন আগে। এক ঘণ্টা কথা হল। যত বড়ই সমস্যা হেক, যত বিবাদই হোক, তার সমাধান একটাই, আলোচনা করা, কথা বলা। আলোচনা ছাড়া কোনও সমাধান হয় না। ঘর আর দেশে কোনও তফাত নেই। ঘরে কোনও গণ্ডগোল হলে সবাই বোঝায়। এই বিবাদ বেশি না বাড়াই ভাল।" রাজ্যপাল আরও বলেন, " আমি খুশি যে আমারও প্রচেষ্টা ছিল, অন্যদেরও প্রচেষ্টা ছিল। এক হাতে তালি বাজে না। ভাল তালিও দুই হাতে বাজে। আমিও তালি বাজাবার চেষ্টা করেছি, সরকারি তরফেও তালি বেজেছে। একটা ভাল ইতিবাচক ফল হয়েছে। লাভ কাদের হল? পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের। এতে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎ আরও ভাল হবে। "