সংক্ষিপ্ত
- বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের গ্রামে শোকের ছায়া
- ওড়িশার জলেশ্বরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
- দুর্ঘটনায় মৃত্যু দুই ভাইয়ের
- হাসপাতাল থেকে ছোট ভাইকে আনতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে
পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে প্রায় দু' মাস ওড়িশার কটকে ভর্তি ভাই। ভাই সুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য বেরিয়েছিলেন দুই দাদা। কিন্তু ভাইকে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারালেন দুই দাদাই। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ আলো পথ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে প্রায় দু' মাস ধরে ওড়িশার কটকে ভর্তি ছিলেন। তিনি সুস্থ হয়ে ওঠায় রবিবার রাতে তাঁর দুই দাদা শেখ আইনাল(৩৬) ও শেখ বদরুদ্দোজা(৪৬) একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে তাঁকে আনতে রওনা হন বিষ্ণুপুর থেকে। ওই একই অ্যাম্বুল্যান্সে এলাকারই আরও তিনজন চিকিৎসা করাতে কটক যাচ্ছিলেন।
সোমবার ভোরে ওড়িশার জলেশ্বরের কাছে লক্ষণনাথ টোল গেটের কাছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্সটি। রাস্তায় একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ওই অ্যাম্বুল্যান্সের। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান শেখ আইনাল। তাঁর ভাই শেখ বদরুদ্দোজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় জলেশ্বর হাসপাতালে। চোট গুরুতর হওয়া তাঁকে বালেশ্বরের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই পরে মৃত্যু হয় তাঁর।
অন্যদিকে ঘটনায় জখম অ্যাম্বুল্যান্স চালক-সহ বাকি চার আরোহীকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সোমবারই ময়নাতদন্তের পর রাতে বেলিয়াড়া গ্রামে নিয়ে আসা হয় দুই ভাইয়ের দেহ। গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। মঙ্গলবার শেষকৃত্যে ঢল নামে এলাকার শোকস্তব্ধ মানুষের। এ দিকে কটকের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে মঙ্গলবারই গ্রামে এসে পৌঁছন মৃতদের ভাই শেখ আলো। তাঁকে আনতে গিয়েই দুই দাদার এভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা কিছুতেই মানতে পারছেন না ওই যুবক।