সংক্ষিপ্ত
শনিবার বাগ দেবীর আরাধনাতে মেতে উঠেছে সারা রাজ্য। থিম পুজো করে জেলা-জুড়ে তাক লাগালো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তেতুল বাড়ি মোড়ের দুরন্ত আশা সংঘ।
মালদহ-তনুজ জৈন: আধার কার্ডে মা সরস্বতী, দুরন্ত আশা সংঘের থিম তাক লাগিয়েছে জেলা জুড়ে (Malda Saraswati Puja 2022) । শনিবার বাগ দেবীর আরাধনাতে মেতে উঠেছে সারা রাজ্য। বিদ্যালয়ে, কলেজে হচ্ছে পুজো। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ক্লাব গুলিতেও পুজো হচ্ছে। আর যে কোনো পুজোর অন্যতম আকর্ষণ থিম পুজো। তেমনি থিম পুজো করে জেলা-জুড়ে তাক লাগালো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তেতুল বাড়ি মোড়ের দুরন্ত আশা সংঘ।
আশা সংঘ-র এবারের থিম আধার কার্ডে মা সরস্বতী। প্রতিটি আধার কার্ডের মধ্যে রয়েছে সরস্বতীর ছবি। নাম লেখা রয়েছে সরস্বতী দেবী। যে থিম ইতিমধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে এলাকা জুড়ে। এছাড়াও খুব সুন্দর ভাবে মণ্ডপ সাজানো হয়েছে। রয়েছে আলোকসজ্জা। অজন্তা স্টাইলে তৈরি হয়েছে বাগদেবীর মূল মূর্তি। ক্লাব সূত্রে জানা গেছে আধার কার্ডের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর জন্যই এই ধরনের থিমের সিদ্ধান্ত। এই বছর ১২ বছরে পা দিলো এই পুজো। প্রত্যেক বছরই আলাদা বিভিন্ন রকমের থিম করা হয়। ইতিমধ্যে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী ভিড় জমিয়েছে এই থিম দেখতে। আশেপাশের এলাকা থেকেও বহু মানুষ আসবে বলে মনে করছে উদ্যোক্তারা।
ক্লাবের সম্পাদক অভিজিৎ কর্মকার বলেন," বর্তমানে যেভাবে সরকারের নির্দেশে সব কিছুতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেই কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই থিম। যাতে সব মানুষ সময় তার আধার কার্ড করে নেয়। যদি দেবী স্বরস্বতীর আধার কার্ড থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের থাকবেনা কেন। এই বার্তাই দিতে চেয়েছি আমরা। আগামী বছর একদম তেতুলবাড়ি মোড় থেকে আমাদের প্যান্ডেল করার পরিকল্পনা রয়েছে।" াকেন্দ্র সরকারের নির্দেশে বর্তমানে আধার কার্ড একদম বাধ্যতামূলক। ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে যে কোনো কাজে নথিপত্র হিসাবে আধার কার্ড লাগছে। তাই প্রত্যেক দেশবাসীর আধার কার্ড থাকা উচিত। সেই বার্তা দিতে ক্লাবের পক্ষ থেকে যে থিম তা যথেষ্ট প্রশংসনীয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে সবে কোভিড সংক্রমণ কমে এসেছে। আর সেই কারণেই ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিধি নিষেধেও অনেকটাই ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। একদিকে গত বছরের শেষে দুর্গা পুজো -কালী পুজোর পর ক্রিসমাসেও এভাবেই সবাই মেতে উঠেছিলে উৎসবে। কিন্তু কোভিডের তৃতীয় ঢেউ এসে আচমকাই ১ হাজার গণ্ডী থেকে প্রায় দৈনিক ২৪ হাজারের গণ্ডী পেরিয়ে যায় আক্রান্তের সংখ্যা। নতুন বছর পড়তেই তাই বাধ্য হয়েই কড়া বিধি নিষেধের পথে হাঁটে রাজ্য সরকার। তবে ফেব্রুয়ারি মাস পড়তেই কোভিড অনেকটাই পরিমাণে কমে এসেছে। তাই এদিন সরস্বতী পুজোয় বাধ্যবাধকতাও কমে সকলেই আনন্দে সামিল হতে পেরেছে।