সংক্ষিপ্ত
- নিয়মিত হয় না মিডডে মিল রান্না
- স্কুলে নিয়মিত ক্লাসও হয় না বলে অভিযোগ
- দীর্ঘদিন এভাবেই চলছে বাঘমুন্ডির গার্লস হাই স্কুল
- অভিযোগ পেয়েই বিদ্যালয়ে হানা প্রশাসনের কর্তাদের
নিয়মিত হয় না মিডডে মিল রান্না, হয় না নিয়মিত ক্লাস। দীর্ঘদিন থেকে এভাবেই চলছিল পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির গার্লস হাই স্কুল।অভিযোগ পেয়েই বিদ্যালয়ে হানা প্রশাসনের কর্তাদের। প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ প্রশাসনের। মিডডে মিল দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই।
মার্চেই হয়তো দোতালা বাস ফিরবে কলকাতায়, এবার খোলা ছাদে শহর দেখবে যাত্রীরা
পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি গার্লস হাই স্কুলে বেনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।ছাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায় বেশ কয়েক বছর ধরে সপ্তাহের শনিবারে রান্না বন্ধ থাকে।এছাড়াও অভিযোগ ছিল প্রধান শিক্ষিকার খেয়াল খুশি মত মাঝেমধ্যেই মিড ডে মিল রান্না বন্ধ থাকতো।নিয়মিত হতোনা ক্লাস। কোনোদিন দুটি ক্লাস কোনোদিন তিনটি ক্লাস হয়ে বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল। তাই প্রথমে বাগমুন্ডির বিডিও কে জানানো হয় ।এতে কাজ না হওয়াতে জানানো হয় জেলাশাসককেও। বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন। হটাৎ করে বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে বিডিও ও শিক্ষাদপ্তরের আধিকারিক হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুর্নীতি।
এবার কিডনিতেও ছড়াল সংক্রমণ, পোলবায় জখম ঋষভের অবস্থার আরও অবনতি
ঘটনায় শোকজ করা হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রূপা মেহেতা রায় সহ এগারো জন শিক্ষিকাকে। তিনদিনের মধ্যে জানাতে হবে কারণ।প্রশাসনিক পর্যায়ে চলছে তদন্ত। রুপা মেহেতা রায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উনি বলেন শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মচারী কম রয়েছে।সেই কারণে কয়েকদিন অসুবিধা হলেও।ঘটনাটিকে এখন বড় করা দেখা হচ্ছে।
বাগমুন্ডি গার্লস হাই স্কুলে ১০৬০ জন ছাত্রী। প্যারাটিচার ৪ জন সহ মোট ১৪ জন শিক্ষিকা। তাই একটু সমস্যা হয়। এখানে নিয়মিত রান্না হয় বলে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ উড়িয়ে দেন প্রধান শিক্ষিকা।
তবে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা শোনালো ভুরি ভুরি অভিযোগ। মিডডে মিল ক্লাস ছাড়াও বাথরুমের অবস্থা খারাপ ।পড়াশুনা একেবারে তলানিতে। সিলেবাস সময়ে শেষ হয়না। তাই তাদের প্রতিনিয়ত অসুবিধাই পড়তে হয় বলে দাবি ছাত্রীদের। বিদ্যালয়ের সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দেয় ছাত্রীরা।
এদিকে জঙ্গল মহল পুরুলিয়ার বাগমুন্ডি গার্লস হাই স্কুলের সমস্যাকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছে বিজেপি। জেলাকমিটির সদস্য জগদীশ কুমার বিষয়টির নিন্দা করে বলেন। এলাকার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়। যেখানে হোস্টেল রয়েছে। অযোধ্যা পাহাড় থেকে বহু ছাত্রী এখানে থেকে পড়াশুনা করছে।সেই বিদ্যালযে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বেনিয়ম।জগদীশ কুমার অভিযোগ করেন কয়েক লক্ষ টাকার গরমিল রয়েছে। এই প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্রীদের বঞ্চিত করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও পেছনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।তাই এর নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার।বিজেপির অভিযোগেই শুরু মিলিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও।বাগমুন্ডি ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের যুগ্ম আহবায়ক কাশীনাথ মাঝিও এর নিন্দা করে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
তাপস সহ তিন মৃত্যুর জন্য দায়ী কেন্দ্র, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কার্তিক চালক জানান, ঘটনাটি নিন্দনীয়।তদন্ত চলছে। দোষ প্রমাC হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বাগমুন্ডি গার্লস হাই স্কুলের মিড ডে মিলে অনিয়ম, শিক্ষিকাদের সময়মতো বিদ্যালয় না আসা ,ক্লাস ঠিকমত না হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন প্রাথমিকভাবে কিছু বেনিয়ম পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে ।দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কয়েকদিন আগেই বাগমুন্ডির একটি নামকরা বেসরকারি আশ্রমিক আবাসিক বিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে দশম শ্রেণীর পঁয়ত্রিশ জন ছাত্র বেরিয়ে গেলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।এই ঘটনায় রেশ কাটতে না কাটতেই বাঘমুন্ডি গার্লস হাই স্কুলের মিড ডে মিল সহ একাধিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় সকলের একটাই প্রশ্ন রাজ্যের মেয়েদের শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী যখন সারা দেশের মডেল তকমা পাচ্ছে।তখন রাজ্যের প্রান্তিক জেলা জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার মেয়েদের একটি স্কুলে কি ভাবে এতদিন ধরে চলছে দুর্নীতি? তাহলে কি শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক বা শিক্ষা বন্ধুরা স্কুল পরিদর্শন করেন না।না কি সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত?