সংক্ষিপ্ত

  • দুর সম্পর্কে আত্মীয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এক স্কুলশিক্ষকের
  • তাঁদের সম্পর্কে কথা  জানতেন পরিবারের লোকেরা
  • ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে শান্তিপুর থানায়
  • তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

বছর দশেকের প্রেম। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে একাধিক সহবাসও করেছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিয়ের করতে আর রাজি হয়নি। এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে।

ধৃতের নাম কাঞ্চন দাস। বাড়ি, নদিয়ার শান্তিপুরেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার রানীবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বছর পঁয়তিরিশের ওই যুবক।  দূর আত্মীয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কাঞ্চনের। ওই তরুণীর বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। ওই তরুণীর দাবি, মেলামেশাই শুধু নয়, গত দশ বছর একাধিক তাঁর সঙ্গে সহবাসও করেছে কাঞ্চন। তখন সে বিয়ের করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাই বিয়ের আগেই প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসে আপত্তি করেননি তিনি।  কিন্তু যখনই বিয়ের করার কথা বলতেন, তখনই কাঞ্চন নানা অছিলায় তা এড়িয়ে যেত বলে অভিযোগ। গত এক বছর ধরে এমনটা চলেছে।  এমনকী, একসময়ে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখাও বন্ধ করে দেয় কাঞ্চন। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়ে বাড়ির লোককে গোটা ঘটনা জানান ওই তরুণী। তাঁদের পরামর্শেই শান্তিপুর থানার কাঞ্চন দাসের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী।  অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। 

দাম্পত্য ও প্রেমের সম্পর্কে যৌনতা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কেউ যদি প্রেমিকা বা স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, তাহলে তা আইনে চোখে ধর্ষণ বলে গণ্য হয়। আবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনতায় লিপ্ত হয়ে, পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করাটা কিন্তু অপরাধ। সেক্ষেত্রেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণেরই অভিযোগ উঠে।  বস্তুত কয়েক মাস আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে,  ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা যদি অতীত ভূলে ফের নিজেদের মতো করে জীবন শুরু করতে চান, সেক্ষেত্রেও ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে হয়ে যায় না কিংবা অপরাধের গুরুত্ব কমে যায় না। বরং অভিযুক্তকে হয় নিজেকে আইনের চোখে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে কিংবা অপরাধের শাস্তি পেতে হবে।