সংক্ষিপ্ত
এই রেল পরিষেবা চালু হলে যেমন একদিকে কৃষকরা লাভবান হবেন, তেমন অন্যদিকে দুই রাজ্য অর্থনৈতিক দিক দিয়েও উন্নত হবে বলে আশাবাদী রেলের আধিকারিকরা।
অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার। চালু হতে চলেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) সেবক (Sevoke) থেকে সিকিমের (Sikkim) রংপো (Rangpo) পর্যন্ত রেলপথ (railway line)। এর জন্য দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অপেক্ষা করা হচ্ছিল। অবশেষে এই রেলপথ চালু হওয়া নিয়ে আশার আলো দেখা গিয়েছে। এরই মধ্যে সেবক রেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী সহ রেলের আধিকারিকরা।
এই রেল প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল ২০০৯ সালে। শিলিগুড়ির সেবক থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত প্রায় ৫২ কিলোমিটার এই রেলপথ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে এই রেল পরিষেবা চালু করার কাজ চলছে জোড় কদমে শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা একথা জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই এই প্রকল্পের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন অনশুল।
আরও পড়ুন- চেনা ছন্দে ফিরছে কলকাতা মেট্রো, ফের চালু হচ্ছে টোকেন পরিষেবা
আরও পড়ুন- বিছানায় মিশেছে দেহ, পড়ে রয়েছে কঙ্কাল, ৩ মাস বাবার মৃতদেহ আগলে ছেলে
এই রেল পরিষেবা চালু হলে যেমন একদিকে কৃষকরা লাভবান হবেন, তেমন অন্যদিকে দুই রাজ্য অর্থনৈতিক দিক দিয়েও উন্নত হবে বলে আশাবাদী রেলের আধিকারিকরা। সোমবার দুপুরে সেবক রংপো রেল প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী রাওসাহেব পাতিল দানবে (Raosaheb Patil Danve)। এদিন তিনি সেবকে রেল লাইনের টানেলের কাজ খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি কথা বলেন রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, এই রেল প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে সিকিমের অর্থিক ও সামাজিক ব্যবস্থার উন্নতি হবে। সিকিমের বাসিন্দারা সহজেই রেলপথকে ব্যবহার করে পণ্য সামগ্রী আদান-প্রদান করতে পারবে।
আরও পড়ুন- 'সিবিআই ছাড়া উপায় নেই', গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় বলল হাইকোর্ট
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২০০৯ সালে যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখনই সেবক রংপোর মধ্যে রেলপথ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এত বছর পর অবশেষে তা চালু হওয়ার একটা আশা দেখা দিয়েছে। এই রেলপথে ৬টি স্টেশন থাকবে। ২০১৫ সালে প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু, পাহাড়ের মধ্যে এই প্রকল্প হওয়ায় বারবার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পাহাড় উঁচু-নিচু হওয়ার কারণে রেললাইন বসাতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তার ফলেই কাজ শেষে হতে অনেকটা দেরি হয়ে যাচ্ছে। এই রেলপথ তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ধার্য্য করা হয়েছিল। তবে প্রকল্প শেষের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় খরচও বেড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
রেল প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত রেল লাইন পাতার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা রয়েছে মন্ত্রকের। সেক্ষেত্রে পর্যটন শিল্পও গতি পেতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। সেবক-রংপো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরই সেদিকে চিন্তাভাবনা করা শুরু হবে।