সংক্ষিপ্ত
সাদামাটা চেহারার মাঝবয়সী ব্যক্তির কোমরে কাপড়ের আড়ালে বিশেষ পদ্ধতিতে লুকিয়ে রাখা অতি মূল্যবান রুপোর বাট। চোখ কপালে উঠে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের।
ভারত-বাংলা সীমান্ত (Indo-Bangla border) দিয়ে শরীরের মধ্যে লুকিয়ে রুপোর বাট পাচারের (Smuggling of silver butts) চক্র ফাঁস! বমাল সীমান্তরক্ষীর (BSF) জালে গ্রেপ্তার পাচারকারী।
খালি চোখে বাইরে থেকে দেখে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই। সাদামাটা চেহারার মাঝবয়সী ব্যক্তির কোমরে কাপড়ের আড়ালে বিশেষ পদ্ধতিতে লুকিয়ে রাখা অতি মূল্যবান রুপোর বাট উদ্ধার হতেই চোখ কপালে উঠে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের।
ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের বাংলাদেশ চর চরভদ্রা এলাকায়। পরবর্তীতে ধৃত ওই পাচারকারী শাহজাহান শেখকে রীতিমতো তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় এক এক করে ৪.৫ কেজি রুপোর বাট। বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, সম্প্রতি কয়েকদিন ধরেই বিএসএফ জওয়ানদের কাছে সোর্স মারফত খবর আসছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে পাচারকারীরা মূল্যবান রুপোর বাট পাচার করছে। কিন্তু কোনভাবেই এদের নাগাল পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে ওঁৎ পেতে বসে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। তারপর এই আচমকা সন্দেহভাজন ভাবে শাহজাহান শেখ নামের ওই ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ঠিক তার পরেই নিশ্চিত হতেই তাকে ঘিরে ধরে ভারতীয় জওয়ানেরা। তারপরেই শুরু হয় তল্লাশি। এই সময় আশেপাশে অন্যরা পালিয়ে যেতে পারলেও শাজাহান আর পালাতে পারেনি। প্রথমের দিকে তার কাছ থেকে কিছু না মিললেও আচমকা কোমরের দিকে নজর দেয় বিএসএফ জওয়ানদের। এরপর এই চোখ কপালে ওঠে তাদের।
বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে সারা কোমর জুড়ে কাপড় দিয়ে আড়াল করে রাখা হয় রুপোর বাট। এরপর এক এক করে পুরো কোমর থেকে ঐ বিপুল পরিমাণ ৪.৫ উন্নতমানের রুপোর বাট উদ্ধার হয়। জানা যায় ওই রুপোর বাট লক্ষাধিক টাকা পাচারের চেষ্টা চলছিল। তার আগেই পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ভারতীয় জওয়ানেরা। শুরু হয়েছে জেরা। কিভাবে ওই রুপোর বাট কোমরে রাখা হয়েছিল সেই নিয়ে এখনই কিছু জানাতে চাননি বিএসএফ জওয়ানরা।