সংক্ষিপ্ত
বুধবার ভোরে বেনাপোলে কয়েকজন ড্রাইভারকে মারধর করে লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ সামনে আসছে। এদিকে লাগাতার এই ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকায় স্বভাবতই উদ্বেগ বাড়ছে ট্রাক চালকদের মধ্যে।
বেনাপোল সীমান্তে(Benapole border) ক্রমেই বাড়ছে ছিনতাইবাজদের দৌরাত্ম্য। ভারত-বাংলাদেশে পণ্য পরিবহনে(Transport of goods between India and Bangladesh) করোনাকালীন বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর থেকে এই এলাকায় নতুন করে খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, ডাকাতির পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। প্রতি সপ্তাহেই ট্রাক চালকদের ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনতাইয়ের খবর সামনে আসছে। বুধবারও ঘটল এমনই এক ঘটনা। বেনাপোলে ছিনতাইবাজদের(Snatcher in Benapole) হাতে আবার আক্রান্ত হলেন ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার(Indian truck driver)। বুধবার ভোরে বেনাপোলে কয়েকজন ড্রাইভারকে মারধর করে লক্ষাধিক টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ সামনে আসছে। এদিকে লাগাতার এই ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকায় স্বভাবতই উদ্বেগ বাড়ছে ট্রাক চালকদের মধ্যে।
এদিকে ছিনতাইবাজদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিবাদ করলেই করলেই গলায় ছুরি ধরে করা হচ্ছে মারধর। বেনাপোলের সরকারি কর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ ট্রাক চালকদের। এদিকে বুধবারের ঘটনা ঘটতেই নতুন করে ক্ষোভের আগুন ছড়ায় ট্রাক চালকদের মধ্যে। বুধবার সকাল হতেই ভারতীয় ট্রাক চালকরা পেট্রাপোল মুখ্য ভবনে অভিযোগ জানায় বলেও জানা যাচ্ছে। অতি দ্রুত সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন তারা। এমনকী পরিস্থিতি চলতে থাকলে তারা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের বেনাপোলে পণ্য খালাস করতে গিয়ে ছুরিকাহত হয়েছিল এক ভারতীয় ট্রাক চালক। তাঁর কাছ থেকে জিনিসপত্র নিয়ে পালায় ওই ছিনতাইকারীরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পেট্রাপোল আইসিপি গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ট্রাক চালকরা। পেট্রাপোল বন্দরের ৩ নম্বর গেটের সামনে চলে বিক্ষোভ। এবার বুধবার নতুন করে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় স্বভাবতই ক্ষোভ বাড়তে থাকে সকলের মধ্যে।
আরও পড়ুন- সীমান্তে বড়সড় সাফল্য পুলিশের, প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র-কার্তুজ সহ গ্রেফতার ২ দুষ্কৃতি
এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ট্রান্সপোর্ট ইউনিয়ন কর্তা থেকে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনও ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় প্রশাসনিক কর্তাদের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও দাবি তুলেছেন তারা। অবিলম্বে প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এদিকে সরকারি নজরদারিতে থাকা আর্ন্তজাতিক স্থলবন্দরে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন পণ্যবাহী ট্রাকের চালকেরা। যদিও এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও প্রশাসনিক ভাবে এখনও বিষয়ে বিশেষ কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।