সংক্ষিপ্ত
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সেই ভোগ ঘরের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, উদ্বোধনের পর দুই বছর অতিক্রম হলেও সোলার রান্না চালু করা যায়নি। নষ্ট হতে বসেছিল মূল্যবান যন্ত্রাংশ।
তারাপীঠ মন্দির (Tarapith Temple) চত্বরে যাতে দূষণ (Pollution) না হয় তার জন্য নেওয়া হয়েছিল ব্যবস্থা। মন্দির চত্বরকে পরিবেশ বান্ধব করে তুলতে সৌরশক্তির (Solar energy) মাধ্যমে মা তারার ভোগ রান্নার (Cooking) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ (Tarapith Rampurhat Development Board)। সেই মতো মন্দিরের নিচে গড়ে তোলা হয় সৌর রন্ধনশালা (Solar kitchen)। সেই রন্ধনশালা অন্যত্র সরাতে গিয়েছিলেন কয়েকজন। আর তাতেই লোহার কাঠামো ভেঙে আহত (Injured) হলেন চার কর্মী। এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে।
প্রসঙ্গত, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের পর তারাপীঠের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। মন্দির চত্বরের সমস্ত দোকান, ভোগ ঘর ও অফিস ভেঙে দিয়ে তার নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। তিরুপতি মন্দিরের মতো মা তারা দর্শনের জন্য মাটির নিচ দিয়ে করা হয়েছে রাস্তা। আর তারই এক পাশে রান্নার জন্য এলাহিভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল ভোগ গৃহ। ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভোগ গৃহ নির্মাণ করেছিল পর্ষদ।
আরও পড়ুন, Midnapore: 'BJP করি বলেই মেলেনি সরকারি প্রকল্পের বাড়ি', শীতে অসহায় সাফাই কর্মীর পরিবার
এ নিয়ে পর্ষদের দাবি ছিল, রান্নার জন্য জ্বালানি কাঠের ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষণ হত। তাই দূষণ রুখতেই সৌর শক্তি দিয়ে মায়ের ভোগ রান্না করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভোগ ঘর নির্মাণ হওয়ার পর কলকাতার একটি সংস্থাকে দিয়ে ‘সোলার স্টিম কুকিং সিস্টেম’ লাগানো হয়েছিল। মন্দিরের গায়ে সাড়ে চার মিটার উচ্চতার দুটি ডিস বসানো হয়। সেগুলির ব্যাসার্ধ ৫.২ মিটার। সেখান থেকে তৈরি হওয়া স্টিম ৩০ মিটার লম্বা পাইপলাইনের মাধ্যমে ভোগ গৃহের সোলার উনুনে পৌঁছবে। দিনে দুই হাজার মানুষের রান্না করতে পারবে এই সোলার উনুন।
আরও পড়ুন- ১ জানুয়ারি রাজ্যজুড়ে পালিত হবে 'ছাত্র দিবস', ঘোষণা মমতার
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সেই ভোগ ঘরের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু, উদ্বোধনের পর দুই বছর অতিক্রম হলেও সোলার রান্না চালু করা যায়নি। নষ্ট হতে বসেছিল মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এনিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় রান্না ঘর সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছিল মঙ্গলবার। রাতের দিকে ডিসের লোহার কাঠামো বাঁধার কাজ চলছিল। ঠিক সেই সময় আচমকা তা পড়ে যায়। আর তার নিচে চাপা পড়ে আহত হন চারজন শ্রমিক। তাঁদের তড়িঘড়ি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- 'এধরনের কথা পাবলিক মিটিংয়ে কেন', প্রশাসনিক বৈঠকে বিধায়ককে ধমক মমতার
ঘটনা প্রসঙ্গে মন্দিরের এক পূজারি বলেন, "ঘটনাটি যখন ঘটে তখন আমি আরও কয়েকজনের সঙ্গে একটি দোকানে বসেছিলান। আচমকা কিছু ভেঙে পড়ার শব্দ পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সৌর চুল্লির যন্ত্রাংশ ভেঙে পড়েছে। সেই দুর্ঘটনায় আহত হন চার শ্রমিক। তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।"