সংক্ষিপ্ত

  • হাসনাবাদে নেত্রী খুনের কিনারা
  • মাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ছেলে
  • গত ১৩ জুন খুন হন সরস্বতী দাস
  • খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা


রাজনৈতিক কোনও রেষারেষি নয়, ছেলের হাতেই খুন হয়েছিলেন হাসনাবাদের নেত্রী সরস্বতী দাস। মাকে হত্যা করার পরে মনমরা হয়েই ছিল ছেলে। নিয়ম মেনে মায়ের পারলৌকিক কাজকর্মও করেছিল সে। শেষ পর্যন্ত সত্যিটা ফাঁস করে দিল পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সুমন দাসকে গ্রেফতারও করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। 

গত ১৩ জুন নিজের বাড়ির বাইরে গুলি করে এবং কুপিয়ে খুন করা হয় হাসনাবাদের ওই নেত্রীকে। তিনি তৃণমূল করতেন বলেই তাঁর স্বামীর দাবি। যদিও, খুনের পর তাঁকে নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করেন বিজেপি নেতারা। এই নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে শুরু হয় চাপানউতোর। সরস্বতীদেবীর মৃতদেহ নিয়ে মিছিলও করে বিজেপি। মৃতের বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণও দিয়ে আসেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বিজেপি এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে। আর উল্টো অভিযোগ করেছিল পদ্ম শিবির। 

আরও পড়ুন- তৃণমূল নেতাদেরই ঘরছাড়া করা হবে, মমতা- শুভেন্দুকে হঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের, দেখুন ভিডিও
 
কিন্তু খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল তদন্তকারীদের মনে। রাজনৈতিক রং লাগায় শীর্ষ স্তরের নির্দেশে  এই হত্যাকাণ্ডের কিনারা করতে উঠেপড়ে লাগে পুলিশ। 

শেষ পর্যন্ত ঘটনার আট দিন পরে মৃতের উনিশ বছরের ছেলে সুমন দাসকে শনিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করানো হয়। কিন্তু কেন নিজের মাকে এমন নৃশংসভাবে খুন করল সুমন?

পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় এখনও খুনের স্পষ্ট কারণ বলেনি ওই  যুবক। তবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, মায়ের অবৈধ কোনও সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিল ছেলে। আর সেই রাগ থেকেই মাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। কিন্তু সে একাই খুন করেছে নাকি কোনও পেশাদার খুনির সাহায্য নিয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ধৃতকে রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্তকে জেরা করে খুনের প্রকৃত কারণ জানতে চান তদন্তকারীরা।