সংক্ষিপ্ত
- রাজ্যের পর্যটনস্থলের তালিকায় প্রবেশ করেছে নৈকালী মন্দির
- মন্দিরের কাছে ভাসমান হাউস বোট এবং রেস্তরাঁ খোলার চিন্তাভাবনা
- হাউস বোটে রাত কাটাতে পারবেন পর্যটকরা
- একথা জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন
দিঘার কাছেই রয়েছে নৈকালী মন্দির। আর রাজ্যের নতুন পর্যটনস্থলের তালিকায় প্রবেশ করেছে সেই মন্দির। এই এলাকাকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য় উদ্যোগ নিল রাজ্য পর্যটন দফতর। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভাসমান হাউস বোট এবং রেস্তরাঁ খোলার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। রবিবার দিঘায় গিয়ে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
আরও পড়ুন- আরও ১৫ দিন বাড়ল লকডাউনের বিধিনিষেধ, নবান্নে ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
গত মাসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়েছিল দীঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি ও তাজপুর উপকূলে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই এলাকাগুলিতে। এছাড়া গত দেড় বছর ধরে করোনার দাপটে সেখানে পর্যটকদের প্রায় দেখাই পাওয়া যায়নি। রীতিমতো ধুঁকছে পর্যটন শিল্প। সেই সব ক্ষত কাটিয়ে ওই এলাকাগুলি কীভাবে ফের ঘুরে দাঁড়ায় তা নিয়েই ভাবনাচিন্তা চলছে। ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতির পর ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। আর তারপরই রবিবার দিঘা সফরে গিয়েছিলেন ইন্দ্রনীল সেন।
রবিবার দিঘা সফরে নৈকালী মন্দির পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তারপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "নৈকালী মন্দিরের পাশে সমুদ্রে দু’টি ভাসমান হাউস বোট রাখার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। একটি ভাসমান রেস্তরাঁও থাকবে। আর সেই ভাসমান হাউস বোটে রাত কাটাতে পারবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি শঙ্করপুরেও একটি নতুন পর্যটন আবাস তৈরির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকের মূল্যায়ণ তালিকায় নাম নেই, না জানিয়েই ফ্রম ফিলআপের অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের
এদিকে করোনার দাপটে পর্যটক না থাকায় ধুঁকতে বসেছে সেখানকার হোটেল ব্যবসা। তা নিয়ে সেখানকার হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সঙ্গেও দিঘার টুরিস্ট লজে বৈঠক করেন ইন্দ্রনীল সেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা। এ প্রসঙ্গে এক হোটেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দিঘার উন্নতির জন্য কী কী কাজ করতে হবে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। এই মুহূর্তে দিঘাতেই রয়েছেন মন্ত্রী। আজ মন্দারমণি-র আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে পর্যটন শিল্প যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে।