সংক্ষিপ্ত

মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিকের ইতিহাসে যা প্রথম। তবে মুখে অনেকেই পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও মনে মনে করোনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা। কেউ আবার প্রকাশ্যেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই ভাইরাসকে। 

স্কুলের ক্যাম্পাসে বসে গুটিকয়েক ছাত্র। মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিতে এসেছে তারা। আজ সবার মুখই খুব উজ্জ্বল। কারও মনে কোনও চিন্তা নেই। মুখে হাসি যেন কিছুতেই ধরছে না। কারণ একটাই। এবার আর কাউকে আটকানো হয়নি। মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিকের ইতিহাসে যা প্রথম। তবে মুখে অনেকেই পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও মনে মনে করোনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা। কেউ আবার প্রকাশ্যেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই ভাইরাসকে। 

 

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবার আগেই সিবিএসই ও আইসিএসই পরীক্ষা আগেই বাতিল করা হয়েছিল। সেই পথে হেঁটে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বাতিল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হয়। আর রেজাল্ট প্রকাশের পরই অবাক হয়ে যান অনেকেই। দেখা যায় ১০০ শতাংশ পড়ুয়াই পাশ করেছে। প্রথম হয়েছে ৭৯ জন। আর তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭। যা দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক মিম। কিন্তু, তাতে পড়ুয়াদের অনেকেরই কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। পরীক্ষা না হওয়ার জন্য করোনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা। 

আরও পড়ুন- 'বড় লক্ষ্যে এগিয়ে যাও', মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রী মমতার

লাইনে দাঁড়িয়ে স্কুল থেকে পড়ুয়াদের রেজাল্ট নিতে দেখা গিয়েছে তাদের অভিভাবকদের। এই রেজাল্টে খুশি হয়েছেন অনেকেই। পরীক্ষা না হওয়ার পরও ছেলেমেয়ে এত ভালো রেজাল্ট করায় তাঁদের মধ্যে অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন করোনাকে। তবে তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মতে পরীক্ষা হওয়ার প্রয়োজন ছিল।  

তবে মন খারাপ স্কুলের শিক্ষকদের। কারণ প্রতিবারের মতো এবার স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় নেই। নেই উদ্দীপনা। দেওয়ালে টাঙানো লিস্ট দেখতে আসছে না কেউই। ১০০ শতাংশকেই পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শিক্ষকদের কপালে। তাঁদের মতে, এভাবে সবাইকে পাশ করানোর ফলে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন তাঁরা। 

আরও পড়ুন- ১০০ শতাংশ পাশের হার, ৭৯ জন প্রথম স্থানে, প্রকাশ পেল মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল

কিছু স্কুলে আবার অভিভাবকদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। শুধু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে স্কুলবাড়ি। সেখানে পড়ুয়াদের কলরব থেকে শুরু করে কিছুই নেই। শুধুমাত্র শিক্ষকদের দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে শিক্ষকদের অনেকেই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শীঘ্রই এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা।