সংক্ষিপ্ত
বাংলায় শুধু হিংসা নয় সৌজন্যের রাজনীতির ও দেখা মেলে। এবার আবার সেই ঘটনার সাক্ষী হল বাংলার মানুষ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
বাংলায় রাজনীতিতে (West Bengal Politics) হিংসার চরিত্র সকলেরই জানা। সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে দেখা গেছে কীভাবে রাজনৈতিক হিংসা গ্রাস করেছে মানুষকে। যার ফলে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। এর পাশাপাশি শ্রীলতাহানির মত গুরুতর অভিযোগ ও উঠেছিল। সেই মামলার রেশ গড়িয়েছে কোর্ট পর্যন্ত ও। বর্তমান সময়ে রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে সৌজন্য সাধারণত চোখে পড়ে না। তবে বিধানসভা ভোটার সময় না হলে ও উপনির্বাচনের মুহূর্তে অবশ্য দেখা মিলেছে রাজনৌতিক সৌজন্য। চলতি বছরের উপনির্বাচনে পাখির চোখ ছিল ভবানীপুর। আর ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মিলেছিল সৌজন্যের রাজনীতির ছবি। একসঙ্গে তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মীরা এক বুথে চায়ের কাপ হাতে দেখিয়েছিলেন রাজনৈতিক সৌজন্য। এই সৌজন্যবোধের সঙ্গী ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এই সৌজন্যবোধ সম্পর্কে তিনি জানিয়েছিলেন, 'এরা আমার পাড়ার ছেলে আমি এদের ছোটো থেকে চিনি। এখানে রাজনীতি পরে আসে। আমরা ভবানীপুরের লোকজন মিলেমিশে কাজ করতেই ভালোবাসি।' এবার আরও এক রাজনৈতিক সৌজন্যবোধের সাক্ষী হল বাংলার মানুষ। এক সঙ্গে ধরা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) এবং বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujon Chakraborty)।
আরও পড়ুন- By Election- দিনহাটায় BJP প্রার্থীর সঙ্গে বচসা তৃণমূলের, ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ
শনিবার শেষ দফার উপনির্বাচন শুরু হয়েছে বাংলায়। তার আগেই ধরা পড়লো সৌজন্যবোধের রাজনীতি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) ঘরে দেখা গেল সুজন চক্রবর্তীকে (Sujan Chakraborty)। শুক্রবার বিকেলে বিজেপি (BJP) বিধায়কের ঘরে হাজির সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। এরপর হাসি মুখেই একে অপরকে হাত বাড়িয়ে দেন। তাদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এরই মাঝে উঠে আসে পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণার কথা। মিনিট ২০ মত শুভেন্দুর সঙ্গে কথা হয় সুজন চক্রবর্তীর। হঠাৎ কথার মাঝে চটলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikary)। তার ঘরকে না কি 'শুভেন্দুর ঘর' বলা চলবে না। ঐ ঘর হল 'বিরোধী দলনেতার ঘর।' শুভেন্দুর মতে, দল তাঁকে এই 'বিরোধী দলনেতা'-র পদ দিয়েছে, তাই এই ঘর তার ব্যক্তিগত ঘর কখনওই হতে পারে না।
আলোচনার মাঝে বাদ পড়লো না শনিবারের উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ ও। রাজনীতির ক্ষেত্রে দুজনের খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং অতি পরিচিত মুখ। এক সময়ের সিপিএমের (CPIM) মন্ত্রী ছিলেন সুজন চক্রবর্তী (Sujon Chakraborty)। অন্যদিকে কংগ্রেস ছেড়ে যখন নিজের স্বতর্ন্ত্ৰ দল তৃণমূলকে বাংলার রাজনীতির ময়দানে প্রতিষ্ঠিত করতে নেমেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), তখন থেকে পায়ে পা মিলিয়ে লড়াইয়ের সঙ্গী ছিলেন এই শুভেন্দু অধিকারী 9Suvendu Adhikary)। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। শুধু তাই নয়, বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রীকে হারিয়ে বর্তমানে তিনি বিরোধী দলনেতা। যদিও শুভেন্দুর জয়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সুতরাং পর বিষয়টাই আলোচনা সাপেক্ষ। সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তীর (Sujon Chakraborty) সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানান, 'বাংলা থেকে সৌজন্যের রাজনীতি শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁর দাবি, ফোনে আড়ি পাতে গোয়েন্দা সংস্থা, তাই ফোনে সবসময় কথা বলা সম্ভব হয় না। তৃণমূলের রাজনীতিতে সৌজন্য বলে কিছু নেই। যাঁরা সৌজন্য় বাঁচিয়ে রাখতে চান।'
আরও পড়ুন- Corona Infection-শয়ে শয়ে লোকের জমায়েতে মুখে মাস্ক নেই কারোর, রমরমিয়ে চলছে হাট