সংক্ষিপ্ত

রাজ্য সরকারকে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, "এই রাজ্যে মদের দোকান, বিউটি পার্লার, সেলুন খোলা রয়েছে। সেখানে কোভিড দেখা যায় না। কোভিড শুধু লোকাল ট্রেন আর স্কুলে থাকে। এভাবে গোটা প্রজন্মের খুব ক্ষতি করছে স্কুল বন্ধ রেখে। ছাত্রছাত্রীরা বলছে তারা সব ভুলে গিয়েছে। অন্তত অসহায় পড়ুয়াদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্কুল খোলা হোক।"

করোনা সংক্রমণ (Corona Infection) ঠেকাতে রাজ্যে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ (Corona Restriction)। এদিকে বিধিনিষেধ মেনে মেলা (Mela) থেকে শুরু করে জিম, রেস্তরাঁ, অফিস খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিরোধীদের দাবি এর ফলে পড়ুয়াদের (Student) যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণে রাজ্যে দ্রুত স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে সম্প্রতি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court)। আর এবার রাজ্যে স্কুল খোলার দাবিতে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

শুক্রবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিরুলিয়ায় একটি জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই স্কুল খোলা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। শুভেন্দুর মতে, "সরকার বাহাদুরের কাছে আবেদন করব, গ্রামের অসহায় ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে তাদের করোনা টিকার (Corona Vaccine) ব্যবস্থা করুন। কোভিড বিধি মেনে দ্রুত স্কুল (School) খুলুন। দেশের সব রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে পঠনপাঠন চলছে। একদিন অন্তর একদিন ক্লাস হচ্ছে। আগে একটা বেঞ্চে পাঁচজন বসত। এখন সেখানে সরকার দু'জন করে বসার ব্যবস্থা করেছে।"

আরও পড়ুন- এক বছরে নেতাজিকে নিয়ে রাজ্য কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেনি, মমতাকে বিঁধে টুইট অগ্নিমিত্রার

রাজ্য সরকারকে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, "এই রাজ্যে মদের দোকান, বিউটি পার্লার, সেলুন খোলা রয়েছে। সেখানে কোভিড দেখা যায় না। কোভিড শুধু লোকাল ট্রেন আর স্কুলে থাকে। এভাবে গোটা প্রজন্মের খুব ক্ষতি করছে স্কুল বন্ধ রেখে। ছাত্রছাত্রীরা বলছে তারা সব ভুলে গিয়েছে। অন্তত অসহায় পড়ুয়াদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্কুল খোলা হোক।"

আরও পড়ুন- মালদহে নাকা চেকিংয়ে গ্রেফতার ১১ কেজি মাদক-সহ পাচারকারী, পলাতক অপর সঙ্গীর খোঁজে পুলিশ

এরই পাশাপাশি শুভেন্দুর আক্ষেপ, "এই রাজ্যে একটা প্রজন্ম চাকরির আশায় বসে থেকে শেষ হয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালে শেষবার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। ২ লক্ষ পিটিটিআই পাশ করে বসে আছে। এবার আরও একটা প্রজন্মকে দু’বছর ধরে পড়াশোনা বন্ধ রেখে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। এখনই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিলে গোটা প্রজন্মের শিক্ষা ব্যবস্থাই মুখ থুবড়ে পড়বে।" 

আরও পড়ুন- আজ বিধাননগর কোর্টে হাজিরা দিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ট্য়াবলো ইস্যুতে কী বার্তা তৃণমূল সাংসদের

করোনার জেরে প্রায় ২০ মাস পর গত বছর ১৬ নভেম্বর রাজ্যে খুলেছিল স্কুলের দরজা। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল পড়ুয়ারা। কিন্তু, বছরের শেষ থেকে রাজ্যে ফের বাড়তে থাকে করোনার সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তারপরই বাধ্য হয়ে ফের স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্য সরকার। কিন্তু, সংক্রমণ সামান্য নিম্নমুখী হওয়ার পর করোনাবিধি মেনে বার, রেস্তরাঁ, অফিস, জিম খোলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। এমনকী, বিয়েবাড়িতেও নিমন্ত্রিতদের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করা হয়েছে। তারপর বিরোধীদের প্রশ্ন, সব কিছুই রাজ্যে স্বাভাবিক নিয়মে করা হচ্ছে। শুধুমাত্র স্কুলই খুলছে না। তাই সরকারের কাছে করোনাবিধি মেনে স্কুল খোলার দাবি জানিয়েছে তারা।