সংক্ষিপ্ত

বুধবার বীরভূমের সিউড়িতে 'আইন অমান্য কর্মসূচি' ছিল বিজেপি-র। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মিছিল চলাকালীন আহত হলেন তিনি। পুলিশের ব্যারিকেড তাঁর পায়ের উপর পড়ে যায়। 

একের পর এক নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে বীরভূমের সিউড়িতে আইন অমান্য কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। আর সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মিছিল চলাকালীন আহত হলেন তিনি। পুলিশের ব্যারিকেড তাঁর পায়ের উপর পড়ে যায়। তার জেরে পায়ে গুরুতর চোট পান। এরপর তড়িঘড়ি সেখান থেকে তাঁকে সিউড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

বুধবার বীরভূমের সিউড়িতে 'আইন অমান্য কর্মসূচি' ছিল বিজেপি-র। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলের একেবারে সামনের সারিতেই ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই এগোতে থাকে মিছিল। এদিকে বিজেপি নেতাকর্মীদের আটকাতে সিউড়িতে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ব্যারিকেড দিয়েছিল পুলিশ। পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে সেই আঁচ করেই ব্যারিকেড দিয়েছিল পুলিশ। এদিকে মিছিল সেখানে পৌঁছলে পরিস্থিতি চরমে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। 

আরও পড়ুন- হাঁসখালি যাচ্ছে বিজেপির পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, দ্রুত জমা পড়বে রিপোর্ট

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপির নেতা-কর্মীরা মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই আচমকা পুলিশের বসানো ব্যারিকেড শুভেন্দুর পায়ের উপর পড়ে যায়। আর তার জেরে পায়ে ব্যারক চোট পান তিনি। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে সিউড়ির বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। 

নদিয়ার হাঁসখালি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গত কয়েক দিনে একের পর এক নারী নির্যাতনের খবর সামনে এসেছে। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে শাসকদলের সঙ্গে অভিযুক্তর যোগাযোগের বিষয় সামনে এসেছে। আর তাতেই আরও দানা বাঁধছে বিতর্ক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে বিরোধীরা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তোলা হয়েছে বিরোধী শিবির থেকে। 

আরও পড়ুন- 'তিনি যদি বলে দেন ছোট ঘটনা, মেনে নাও ভুলে যাও সব রটনা' এবার কবিতার ছন্দে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ রুদ্রনীলের

হাঁসখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর থেকেই তৎপর সিবিআই। তবে নির্যাতিতার পরিবার যেভাবে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে চলেছেন, তাতে অস্বস্তি বেড়ে চলেছে তৃণমূলের। আর সেই চাপ আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিতে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব হাঁসখালিতেও 'ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি' পাঠাতে উদ্যোগী হয়েছে। বুধবারই কমিটি গড়েছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই অনুসন্ধান কমিটিতে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ রেখা বর্মা, শিশুকল্যাণমন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, তামিলনাড়ুর বিধায়ক ও বিজেপির মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনতি শ্রীনিবাসন, বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর এবং মালদার ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।