সংক্ষিপ্ত
- ফেসবুক লাইভে শিক্ষকের আত্মহত্যা
- বন্ধুরা দেখে ফোন করলেও শোনেনি
- শ্বশুর বাড়ি থেকেই আত্মঘাতী
- আত্মহত্যার কারণ নিয়ে রহস্য
তাপসী চক্রবর্তী, বালুরঘাট- ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যা করলেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। ফেসুবকে তাঁকে এই অবস্থায় দেখে তাঁকে ফোন করেন বন্ধু থেকে সহকর্মীরা। কিন্তু কারোর কথা না শুনে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। শ্বশুরবাড়ি থেকে ওই প্রাথমিক শিক্ষকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানাগেছে. আত্মঘাতী প্রাথমিক শিক্ষক বছর বত্রিশের শুভাশিস মার্ডি। বালুরঘাটে চিঙ্গিশপুর এলাকার মহদীপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে পাশের ঘরে পড়াশুনা করছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই ফেসবুক লাইভ করে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই প্রাথমিক শিক্ষক। ফেসবুকে শুভাশিসকে গলায় গামছা লাগানো অবস্থায় দেখে তাঁকে ফোনও করেন বহুবার। কিন্তু কারও ফোনে সাড়া দেননি ওই প্রাথমিক শিক্ষক।
পরিবার সূত্রে খবর, লকডাউনের আগে আইনি মতে বিয়ে হয়েছিল শুভাশিসের। কিন্ত কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান হয়নি। বিয়ে নিয়েও তাঁর কোনও সমস্যা ছিল না বলে দাবি পরিবারের। তবে কোনও কারনে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানিছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। লকডাউনের কারনে তাঁদের সঙ্গেও দীর্ঘদিন দেখা নেই। এই অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষকের আত্মহত্যার কারন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে শুভাশিসের দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ঘটনায় আত্মহত্যার কারন জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।