সংক্ষিপ্ত

  • পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ঘটনা
  • যুবককে খুন করল স্ত্রী এবং তার প্রেমিক
  • খুনের সময় দেখে ফেলে দশ বছরের ছেলে
  • অভিযুক্ত দু' জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

মেয়ের গৃহশিক্ষকের অবৈধ সম্পর্ক। আর তার জেরেই খুন হতে হল স্বামীকে। খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় নিজের দশ বছরের ছেলেকেও ওই গ়ৃহবধূ এবং তার প্রেমিক খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অভিযুক্ত গৃহবধূ এবং তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বিজনগড় গ্রামে। মৃত ওই যুবকের নাম সুজিত মণ্ডল (৩৮)। নিহত যুবক একটি মিষ্টির দোকানের কর্মী ছিলেন। স্ত্রী, দুই সন্তান এবং বাবাকে নিয়ে সংসার ছিল তাঁর। 

আরও পড়ুন- যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, গাছে বেঁধে গৃহবধূর বিয়ে দিল 'গণআদালত', দেখুন ভিডিও

পুলিশ সূত্রে খবর, সুজিতবাবুর মেয়েকে বাড়িতে পড়াতে আসত নয়ন পাল নামে স্থানীয় এক যুবক। তার সঙ্গেই সুজিতবাবুর স্ত্রী শম্পা মণ্ডলের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিযোগ, পথের কাঁটা সরাতে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে নিজের স্বামীকেই খুন করার চক্রান্ত করে শম্পা। পুলিশের কাছে মৃত সুজিত মণ্ডলের দশ বছরের ছেলে জানিয়েছে, প্রথমে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করা হয় তার বাবাকে। এর পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার ভোরে বালিশ চাপা দিয়ে তার মা এবং অভিযুক্ত নয়ন পাল তার বাবাকে খুন করে বলে জানিয়েছে ওই বালক। কাউকে কিছু জানালে তাকেও মেরে ফেলা হবে বলে ভয় দেখানো হয়েছিল বলেই দাবি করেছে সে।

আরও পড়ুন- স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ দাপুটে তৃণমূল নেতা, হাতেনাতে ধরে বেঁধে রাখলেন স্বামী

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সুজিতের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রথমে চালানোর চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত শম্পা মণ্ডল। কিন্তু তাতে সন্দেহ হয় মৃতের আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদের। এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। কাটোয়া থানার  পুলিশ এসে দেহ পরীক্ষা করে মৃতের গলায় কালশিটে দেখতে পায়। এর পরেই ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ কাটোয়া হাসপাতালে পাঠানো। ময়নাতদন্ত রিপোর্টেই স্পষ্ট হয়ে যায়, সুজিতের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এর পরই মৃতের স্ত্রীকে জেরা শুরু করে পুলিশ। কথা বলা হয় মৃতের দুই সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গেও। তখনই পুলিশকে খুনের কথা জানায় মৃতের ছেলে। এর পরেই অভিযুক্ত শম্পা মণ্ডল এবং তার প্রেমিক নয়ন পালকে আটক করে জেরা শুরু করে পুলিশ। 

জেরায় অপরাধ স্বীকার করে নেয় দু' জনেই। অভিযুক্ত শম্পা জানায়, বুধবার রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সে সুজিতকে খাইয়ে দেয়। তার জেরে সুজিত আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে ভোররাতে নয়নকে ডেকে স্বামীকে খুন  করে ওই গৃহবধূ। এর পরেই দু' জনকে গ্রেফতার করে কাটোয়া থানার পুলিশ।