সংক্ষিপ্ত
ভাঙড়ে পরকীয়ার জেরে স্বামী খুনের কাণ্ডে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসাবে এলাকার তৃণমূল নেতা যুক্ত বলে দাবি করেন ধৃত সইদুল শেখ ওরফে ছট্টু।
ভাঙড়ে পরকীয়ার জেরে স্বামী খুনের কাণ্ডে ( Bhangar Murder Case) নাম জড়াল তৃণমূল নেতার । উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই (Extra Marital Affair) পরকীয়া সম্পর্কের জেরে, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে স্ত্রীকে। চাঞ্চল্যকরভাবে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঘটনায় অভিযুক্ত ফেরার থাকা সইদুল শেখ ওরফে ছট্টু। পুলিশি জেরায় তিনি এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসাবে এলাকার তৃণমূল নেতা (TMC Leader) যুক্ত বলে দাবি করেন ছট্টু।
আরও পড়ুন, Murder Case: পরকীয়ায় মত্ত হয়ে স্বামীকে গলা টিপে খুন ভাঙড়ে, ধৃত স্ত্রী
শনিবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঘটনায় অভিযুক্ত ফেরার থাকা সইদুল শেখ ওরফে ছট্টু। আনসুর আলি গাজিকে হত্যার ঘটনার মূল অভিযুক্ত এলাকার তৃণমূল নেতা মহসিন গাজি বলে দাবি করেন ছট্টু। তৃণমূল নেতা মহাসিন গাজি এই খুন করিয়েছে, তাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এই খুন করানো হয়েছে বলে জানান ছট্টু। মহাসিন নিহত আনসুর আলি গাজির ভাই। ভাঙড় ২ সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহাসিন গাজি। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত সে। প্রসঙ্গত, ভাঙড়ে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছিল ভাঙড়ের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার অন্তর্গত বামনঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোচপুকুর গ্রামে।
স্থানীয় সুত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কোচপুকুর গ্রামের বছর তেপান্নর আনসুর আলি গাজী। অতঃ পর তাঁর মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হয়। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি নয়া মোড় নেয়, স্থানীয় সুত্রের খবর, পরকীয়া সম্পর্কে মুসলিমা বিবি ( প্রেমিক সাইদুল শেখের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিলেন। স্ত্রীর ওই সম্পর্কের কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করতেন স্বামী আনসুর আলি গাজী। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। পথের কাটা সরাতে স্ত্রী নিজের স্বামী কে খুনের পরিকল্পনা করেন এবং খুন করেন। শনিবার এ বিষয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে মুসলিমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেন মুসলিমা। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন অন্যতম অভিযুক্ত সইদুল শেখ ওরফে ছোট্টু।
তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, পথের কাঁটা সরাতে স্বামী আনসুর আলি গাজীকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে দু’জনে। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে গলা টিপে, বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে স্ত্রী মুসলিমা বিবি। তার খুনে সহায়তা করে প্রেমিক সইদুল শেখ ওরফে ছট্টু। সে নিজে ঘরে ঢুকে গলায় বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে। শনিবার থেকেই ফেরার সাইদুল শেখের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ছট্টুর পরিবারের বেশ কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ। তবে ঘটনার বাঁক নেয় শনিবার রাতে। নিজেই থানায় আত্মসমর্পণ করেন মূল অভিযুক্ত ছট্টু শেখ। থানায় আত্মসমর্পণ করতে এসে বিস্ফোরক মত প্রকাশ করেন ছট্টু। সেখানে উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরকে তিনি জানান, 'ঘটনায় তাঁকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। বৌদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহসিন গাজির। সেই কারণে আনসুর আলি গাজিকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সে। সেই কাজে সইদুলকে ব্যবহার করা হয়েছে। তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে এই তৃণমূল নেতা মহসিন গাজি নিজের কাজ হাসিল করেছে', বলে দাবি সইদুলের। ঘটনার তদন্ত করছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ' এ বিষয়ে প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক' , যদিও সইদুলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহসিন।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে