সংক্ষিপ্ত
ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু মালদার পরিযায়ী শ্রমিকের। পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে
বুধবার রাতে রায়গঞ্জের রাপাহারে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের নয়ানজুলিতে একটি বাস উল্টে ছয় পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। একদিন বাদে ফের উত্তরবঙ্গের (North Bengal) পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant worker) মৃত্যুর (Death) ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নির্মাণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে বেঙ্গালুরুতে পাড়ি দেন মালদহের চাঁচল থানার গোবিন্দপাড়ার পশ্চিমপাড়ার যুবক রবিন যুগি (২১)।
ঠিকাদারের অধীনে নির্মাণের কাজে যান রবিন। তাঁর কাছে কোনও ফোন ছিল না বলে যাওয়ার পরে বাড়িতেও যোগাযোগ হয়নি। তারমধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। যুবক আত্মঘাতী হয়েছে বলে ঠিকাদার সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে। যদিও আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাটি মানতে নারাজ পরিবার। পরিবারের দাবি, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তের কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন মৃত শ্রমিকের মা পুতুল যুগি।
আরও পড়ুন- শাঁখ কেন তিনবার বাজানো হয় জানেন, রয়েছে অদ্ভুত কারণ
পুতুল যুগি বলেন, ছেলে কোনো নেশা বা প্রেম করত না। লকডাউনের পরে এলাকায় কাজ নেই। বাড়ির অভাব অনটন দেখেই ছেলে বিল্ডিং-এর কাজ করতে যায় ভিনরাজ্যে। এইভাবে ছেলের মৃত্যুর খবর মেনে নেওয়া যায় না। ছেলেকে খুন করা হয়েছে। যদিও ঠিকাদারদের তরফে দাবি আত্মহত্যা করে মারা গেছে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। ঘরের ছোট ছেলেকে শেষ দেখার অপেক্ষায় পরিবারে বইছে কান্নার রোল। দেহ আনার জন্য শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন বড় দাদা ও মৃতের বাবা শম্ভু যুগি।
আরও পড়ুন- আগে ভেড়া ছিল,এখন ছাগল এসেছে', বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল
এদিকে, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে খুন হন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। করোনার জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু এলাকায় তেমন কাজের সন্ধান ছিল না। তাই করোনা আবহেই ঝুঁকি নিয়ে ফের পাঁচমাস আগে ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। খুব শীঘ্রই গুজরাত থেকে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের কনকনিয়া এলাকার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। সেখানেই খুন হন তিনি।
আরও পড়ুন- Indian Railway Job -ভারতীয় রেলে চাকরির দারুণ সুযোগ, দিতে হবে না কোনও লিখিত পরীক্ষা
ভিন রাজ্যে একের পর এক শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা। কটাক্ষের সুর চড়িয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন, 'এখানে কাজ মিলছে না বলেই এলাকার শ্রমিকদের বাইরে যেতে হচ্ছে। এভাবে ওদের কার্যত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যদিও পাল্টা শাসকদলের বিধায়ক তজমুল হোসেন বলেন,' ওটা বিজেপি শাসিত রাজ্য। বিজেপির উস্কানিতেই ফুদনকে ওখানে খুন করা হয়েছে।'