সংক্ষিপ্ত

  • আশঙ্কা সত্য়ি হলো
  • রাস্তায় নামলো না বেসরকারি বাস
  • সংক্রমণের আশঙ্কায় সিঁটিয়ে গেলেন বাসকর্মীরা
  • পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চললো কিছু সরকারি বাস

শাহজাহান আলি, মেদিনীপুর:  যা আশঙ্কা করা হয়েছিলো, কার্যত তাই-ই ঘটলো।  সোমবার থেকে রাস্তায় নামলো না বাস পশ্চিম মেদিনীপুরের  জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বাস ওনার্স অ্য়াসোসিয়েশনে বৈঠকের পরও  সংক্রমণের ভয়ে  পিছিয়ে এলেন বেসরকারি বাসের কর্মীরাযদিও সংখ্য়ায় অল্প হলেও রাস্তায় নামলো সরকারি বাস

আরও পড়ুন: লকডাউনেও তোলা আদায়ের অভিযোগ,পুলিশের তাড়া খেয়ে ওল্টালো গাড়ি

শনিবার জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেনসেখানেই সিদ্ধান্ত হয়,  যাত্রীদের বসার ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে সোমবার থেকে রাস্তায় নামবে বাসবাস মালিকদের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিলো, বাসগুলোকে যেন ভালোভাবে স্য়ানিটাইজ করা হয়এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিলোকিন্তু গোল বাধলো সোমবার  সকালে এদিন সকালে আচমকাই বেঁকে বসলেন বেসরকারি বাসের কর্মীরা  বাসকর্মীদের কথায়, " এই পরিস্থিতিতে যাত্রী নিয়ে আমরাও সংক্রমিত  হতে পারি তাই সরকার আমাদের জন্য কিছু না ভাবলে আমরা কাজে বেরোতে পারব না।"  পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ও আন্তঃজেলা হিসেব করলে ৭০০টি  বাস প্রতিদিন যাতায়াত করে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে। দুই হাজারের বেশি কর্মী এই বাসগুলোতে কাজ করেন। কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কায় সকলেই সিঁটিয়ে রয়েছেন। বাসওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি-র কথায়,  " সিদ্ধান্ত হলেও নিরাপত্তাহীনতার কারণে কর্মীরা পিছিয়ে পড়ছেন। কয়েকজন রাস্তায় বাস নিয়ে বের হয়ে কুড়ি কিলোমিটার যাওয়ার পরও একজন যাত্রীও তুলতে পারেননি। তাই ফাঁকা রাস্তায় লোকসান হবে। এত সমস্ত কারণে সকলে পিছিয়ে গেছে। আমরা আবার বৈঠকে বসছি।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য বিধিকে বুড়ো আঙুল, স্টেশনে নেমে পালিয়ে গেলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা

যদিও বেসরকারি বাস চলাচল না-করলেও বেশ কিছু সরকারি বাস এদিন রাস্তায় নেমেছে। সেখানে যাত্রীর সংখ্য়া কম হলেও বেশ কিছু লোক যাতায়াত করছেন। যাত্রীদের গাড়িতে তোলার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত ও থার্মাল পরীক্ষা, সবটাই করছেন বাসের চালক ও কর্মীরা। স্থানীয়রা তাই বলাবলি করছেন, সরকারি বনাম বেসরকারির দৌড়ে প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে রইলো সরকারি বাসই