সংক্ষিপ্ত
- স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে না
- কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পরীক্ষা হবে না
- জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে
- প্রথমে পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছিল বোর্ড
রাজ্যের অন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রেসিডেন্সিতেও হবে না স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার একথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্য বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভরতির প্রবেশিকা এবছর বন্ধ রেখেছে বোর্ড।
আরও পড়ুন- এসএসকেএম-এ মহিলা চিকিৎসককে শ্লীলতাহানি, ২ সহকর্মীকে বদলির নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবনের
কয়েক বছর ধরেই প্রেসিডেন্সির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিচ্ছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। কয়েক দিন আগেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশের সময় প্রবেশিকা হবে বলে জানিয়েছিল বোর্ড। অগাস্টের ৭ ও ৮ তারিখ স্নাতক এবং ১৪ তারিখ স্নাতকোত্তর স্তরে ভরতির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। এরপর বুধবার উপাচার্যদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে বোর্ডের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও পরামর্শ ছাড়া বোর্ড কীভাবে এই পরীক্ষার কথা ঘোষণা করতে পারে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাঁর প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন- ফের ১ হাজারের দিকে উর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ, কবে মৃত্যু শূন্য হবে কলকাতা
এরপরই বোর্ডের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের সচিব। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এ বছর পরীক্ষা নিয়ে আপত্তি জানায় রাজ্য। তারপরই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বোর্ড। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এবছরের মতো প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে বোর্ড। বরং শেষ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভরতি নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গে শিশুদের নিরাপত্তায় জোর, সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু শিশুদের করোনা টিকাকরণ
গত বছরও প্রেসিডেন্সির প্রবেশিকা হয়নি। শেষ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ভরতি নেওয়া হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এবছরের মতো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, প্রথমে প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে বলে ঘোষণা করেছিল জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড। যদিও শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত বদল করে তারা।