সংক্ষিপ্ত
রাজ্যে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তলব করেছে সিবিআই এবং ইডি। 'গোটা তৃণমূল দলটাই চলছে গরুপাচারের টাকাতে', রাজ্যের বিতর্কিত সময়েই তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
'গোটা তৃণমূল দলটাই চলছে গরুপাচারের টাকাতে', রাজ্যের বিতর্কিত সময়েই তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেই রামপুরহাট, ঝালদা, আনিস খান হত্যাকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। তার উপর আবার ঝুলছে গরুপাচার মামলা, কয়লা পাচার মামলা সহ একাধিক মামলা। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তলব করেছে সিবিআই এবং ইডি। এনিয়ে নবান্নে প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। এরপরেই মমতার সরকারকে নিশানা করলেন শুভেন্দু। তিিন বললেন, গোটা তৃণমূল দলটাই গরুপাচারের টাকাতে চলছে। বাংলাদেশে সেই গরু পাচার করছে মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ ও আত্মীয়স্বজনরা।'
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' আমাদের রাজ্য বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে লাগোয়া। বলুন আমি কেন সেই সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হব।উত্তরপ্রদেশ থেকে কয়লা, গুরু আসবে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ থেকে কয়লার গাড়ি আসবে। অসম থেকে কয়লা আসবে। যাবে আমার রাজ্য দিয়ে। উৎস অন্য জায়গায়। কেন্দ্রীয় সরকার কেন বন্ধ করে দিচ্ছে না। বিএসএফ বা সিআইএসএফ আমার হাতে নেই। তাহলে রাজ্য সরকারের দায়িত্ব কোথায়। কোভিডের সময় রাজ্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, বর্ডারে কোনও গাড়ি আটকানো যাবে না।তাহলে এখন এসব বলা হচ্ছে কেন', বলে প্রশ্ন তোলেন মমতা।
আরও পড়ুন, 'নিজেরা মেরে দেহ নিয়ে নবান্ন অভিযানের চেষ্টা', 'বোকা-ধোঁকা-পোকা' বিস্ফোরক মমতা
এরপরেই আসানসোলের নির্বাচনী প্রচার থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, উনি অপদার্থ পুলিশ মন্ত্রী বলে এসব কথা বলছেন। উনি তো পুলিশ মন্ত্রী, বাইরে থেকে গরু এলেই তো আটকে দিতে পারেন। ওর গোটা দলটাই গরু পাচার এবং কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। গোটা তৃণমূল দলটাই চলছে গরুপাচারের টাকাতে। বাংলাদেশে সেই গরু পাচার করছে মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ ও আত্মীয়স্বজনরা।আর রাজস্থান থেকে যেগুলি আসে , সেগুলি গো শালায় রাখার জন্য।একথা সবাই জানে।'
আরও পড়ুন, 'ওড়িশায় শ্রীঘর সাফ হচ্ছে অনুব্রতর জন্য', বগটুইকাণ্ডে বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা
প্রসঙ্গত, গরুপাচার -কয়লা পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। ইতিমধ্য়েই কয়লাপাচারকাণ্ডে সস্ত্রীক অভিষেককে একাধিকবার তলব করা হয়েছে। এদিকে গরুপাচার মামলায় সিবিআই-র জাতাকলে আটকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এদিকে তার উপর আবার গরুপাচার মামলায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের রক্ষাকবচের আরজি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ এবার সিবিআই তলব করলে হাজিরা দিতেই হবে অনুব্রত মন্ডলকে। ফলে অস্বস্তি বেড়ে গিয়েছে অনুব্রত মন্ডলের। কারণ আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বগটুই হত্যাকাণ্ড।