সংক্ষিপ্ত

ফের রাজ্যে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা (TMC Leader) । এবার ঘটনাস্থল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জ। বাইকে করে এসে সোলেমান আলিকে (Soleman Ali)গুলি করে দুষ্কতীরা। ঘটনায় আহত আরও এক।
 

দক্ষিণবঙ্গের এবার তৃণমূল নেতার (TMC Leader) গুলিবিদ্ধ (Shoot Out)হওয়ার ঘটনা ঘটল উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। রাস্তার উপর তৃণমূল নেতার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য় ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri)রাজগঞ্জের ভুটকি গন্ডার মোর এলাকায়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেততা নাম সোলেমান আলি (Soleman Ali)। সোলেমান ব্লকের একজন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বলেই জানা যাচ্ছে। তার চা বাগানের ব্যবসা রয়েছে। কিন্ত কেনও তাকে রাস্তার উপর এইভাবে গুলি করে মারার চেষ্টা করা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনায় শুধু সোলেমান আলি একা নয়, আহত হয়েছেন স্থানীয় এক লটারি ব্যবসায়ী।

 রবিবার রাতে রাজগঞ্জের ভুটকি গন্ডার মোর এলাকায় একটি লটারির দোকানে বসেছিলেন বছর ৫৫-এর সোলেমান আলি। সেই সময় বাইকে করে এসে দুই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি লটারি দোকানের সামনে দাড়ায়। বাইক তখন চালু অবস্থায় ছিল। অন্যজন বাইক থেকে নেমেই সোলেমানের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ধাওয়া করছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে অন্ধকারে হারিয়ে যায় ওই দু'জন। ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে সোলেমান। সেই গুলিটি ছিটকে লটারি দোকানদার এর লাগে। তিনি আহত হন। তার বাড়ি সেল্টারবাড়ি এলাকায়। ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ভিড় জমান এলাকায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়।

আহত ২ জনকে প্রথমে উদ্ধার করা হয়। ২ জনকেই গুরুতর আহত অবস্থায় সোলেমান আলিকে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় শিলিগুড়ির আরেকটি নার্সিংহোমে। তাঁর অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।  জানা গিয়েছে, সোলেমান আলির উত্তর দিনাজপুরে একাধিক চা বাগান রয়েছে। দলের প্রভাবশালী নেতা হিসাবে পরিচিত তিনি। কারা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল তা জানা যায়নি। গুলি চালানোর পিছনে ব্যবসায়িক না রাজনৈতিক কারণ রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। একইসঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিস।

গত শনিবার সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হন ক্যানিংয়ের যুব তৃণমূল নেতা মহরম শেখ। রাত ২টো নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের আরেক তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর এল। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক । দলের একের পর এক  নেতা গুলিবিদ্ধ  হওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছে শাসক দল। ঘটনায়  রাজনৈতিক রং লাগানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়েছে।