সংক্ষিপ্ত
চরম দুর্বিষহ পরিবেশের মধ্যে দিন কাটাতে হত এই গ্রামের বাসিন্দাদের। এবছর শাসক দলের প্রতিনিধিরা যখন এই গ্রামে ভোটের প্রচারে আসেন তখন এলাকার শিক্ষক তথা মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান সেই প্রচারের দলে ছিলেন।
শিক্ষক (Teacher) তথা তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের (Bulbul Khan) প্রচেষ্টায় অবশেষে যাওয়ার জন্য রাস্তা (Street) পেল গ্রামবাসীরা। প্রসঙ্গত মালদহের (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর কলোনি এলাকার মানুষদের গ্রামের ঢোকার জন্য কোনও রাস্তা ছিল না। এই গ্রামে প্রায় ১০০টি পরিবারের বাস। যাওয়া আসার জন্য তাঁদেরকে ধানের জমির উপর দিয়ে চলাচল করতে হত। মরণাপন্ন রোগী (patient) ও প্রসব বেদনা ওঠা মহিলাকে (Pregnant lady) গ্রাম থেকে খাঠিয়ার উপরে করে এনে মূল রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতাল নিয়ে যেতে হত। অবশেষে ওই এলাকায় গ্রামবাসীদের জন্য প্রতিশ্রুতি মতো রাস্তা করে দিলেন বুলবুল খান।
চরম দুর্বিষহ পরিবেশের মধ্যে দিন কাটাতে হত এই গ্রামের বাসিন্দাদের। এবছর শাসক দলের প্রতিনিধিরা যখন এই গ্রামে ভোটের প্রচারে আসেন তখন এলাকার শিক্ষক তথা মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান সেই প্রচারের দলে ছিলেন। তাঁকে কাছে পেয়ে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার ব্যাপারে অভিযোগ জানান। রাস্তা পেলে তবেই ভোট দেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা। তৎক্ষণাৎ এলাকার শিক্ষক প্রতিশ্রুতি দেন ভোট পেরোলে রাস্তা করে দেওয়া হবে। আর সেই কথা রাখলেনন বুলবুল খান। আপাতত নিজের বেতনের টাকা থেকে রাস্তার জন্য ধানের জমি থেকেই জায়গা কিনে পঞ্চায়েতকে দান করলেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জানালেন, 'আমরা অবিলম্বে এই রাস্তা নির্মাণের কাজে হাত দেব।' রাস্তা হবে শুনে স্বভাবতই খুশি গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন- 'স্বীকার করছি ভুল করেছিলাম', ৯ মাস পর তৃণমূলে ফিরলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
এ প্রসঙ্গে শিক্ষক নেতা বুলবুল খান বলেন, "বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোটের প্রচারে এসেছিলাম এই গ্রামে। রাস্তা নিয়ে একটা সমস্যা ছিল এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। বলেছিলাম ভোটের পরেই রাস্তার কাজ শুরু জন্য চেষ্টা করব। এই গ্রামের মানুষ এবারের ভোটে আমাদের দু'হাত তুলে আশীর্বাদ করেছে। সেই মোতাবেক আমি জমির জন্য টাকা দিলাম। বাকি রাস্তার কাজ পঞ্চায়েত করবে।"
আরও পড়ুন- 'খুঁটি পুজোটা হয়েছে', ত্রিপুরার সভায় বিপ্লবদেবের সরকারকে 'বিসর্জনের' হুঁশিয়ারি অভিষেকের
স্থানীয় বাসিন্দা জাবির হোসেন বলেন, "এই গ্রামে ঢোকার কোনও রাস্তা ছিল না। এলাকাবাসী ধানের ক্ষেতের আল দিয়ে হেঁটে হেঁটে গ্রামে প্রবেশ করতেন। অসুস্থ মরণাপন্ন রোগী, প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করা মহিলাদের খাটিয়া করে নিয়ে মূল রাস্তায় নিয়ে যেতে হত। সেটিও গ্রাম থেকে প্রায় কিলোমিটার খানেক দূরে। এবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে আসা তৃণমূল নেতাদেরকে আমরা দাবি জানিয়ে ছিলাম রাস্তার। সেই অনুযায়ী শাসক দলের নেতা তথা শিক্ষক বুলবুল খান উনি কথা দিয়েছিলেন রাস্তা হবে। আজ তিনি এই গ্রামে এসে স্থানীয় এক জমির মালিকের কাছ থেকে রাস্তার জন্য জমি কিনলেন। পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে ছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন অবিলম্বে এই জমিতে রাস্তার কাজ শুরু হবে।"