সংক্ষিপ্ত

  • ব্যান্ডেল স্টেশনের ঘটনা
  • তৃণমূল নেতা দিলীপ রামের মৃত্যু
  • বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ
  • রবিবার ব্যান্ডেল এবং চুঁচুড়া বনধের ডাক তৃণমূলের

ব্যস্ত রেল স্টেশনে শ্যুটআউটে মৃত্যু হল তৃণমূল নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশনে। নিহত নেতার নাম দিলীপ রাম। এ দিন সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের উপরেই পেশায় রেল কর্মী দিলীপবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বারো ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে তৃণমল কংগ্রেস। 

দিলীপবাবুর স্ত্রী ঋতু সিং ব্যান্ডেলের স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান। এ দিন সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে তরুণ ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী। গুলি লাগে তাঁর মাথার পিছনের দিকে। এর পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় দুই অভিযুক্ত। 

আরও পড়ুন- জনশতাব্দীতে মিলল কি চোরাই সোনা, গ্রেফতার ২

আহত দিলীপবাবুকে প্রথমে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতায় আনার পথে আহত তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়।

চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের অভিযোগ, বেশ কয়েকমাস ধরেই দিলীপ রামকে হুমকি দিচ্ছিল বিজু পাসোয়ান নামে বিজেপি ঘনিষ্ঠ এক দুষ্কৃতী। বিষয়টি আগাম পুলিশকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি-র সঙ্গে আর্থিক লেনদেন রয়েছে চুঁচুড়া থানার আইসি-র। নিহত নেতাকে দলের সম্পদ বলেও উল্লেখ করেছেন অসিতবাবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কৃষি মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। তিনিও পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বিজেপি-র উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, বিজেপি যে ভাষা বোঝে সেই ভাষাতেই তাদের জবাব দেওয়া হবে। 

 ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বারো ঘণ্টার ব্যান্ডেল বনধ এবং চব্বিশ ঘণ্টার চুঁচুড়া বনধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্তে নেমেছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। ঘটনার পর থেকেই এলাকার পরিবেশ থমথমে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।