মদনের আরোগ্য কামনায় দিনভর চলল পুজো-যজ্ঞ, টিউমারের ফাঁড়া কাটিয়ে আপাতত স্থিতিশীল ‘লাভলি-বয়’

বার্ধক্যের ছাপ ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে দাপুটে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের (TMC Leader Madan Mitra) শরীরে। বারেবারেই বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে ভোকাল কর্ডে টিউমার ধরা পড়ে মদন মিত্রের। তবে তখন পুরভোট থাকায় অস্ত্রোপচার করতে চাননি তিনি। সম্প্রতি তাঁর ভোকাল কর্ডের কাছে পলিপটি বাড়তে শুরু করে বলে জানা যায়। অবস্থা খারাপ হতে থাকায় দ্রুত অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তারেরা। আজই ল্যারিঙ্গোস্কোপির মাধ্যমে অস্ত্রোপচার হল সেটির। এদিন সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁর অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। কিন্তু মদনের আরোগ্য কামনায় এদিন দিনভর ভক্তদের সদিচ্ছার কোনও কমতি ছিল না। এদিনই বেলঘড়িয়া জগন্নাথ মন্দিরে বিধায়কের দ্রুত আরোগ্য কামনায় কামারহাটি পুরসভার ২৩নং ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ রায় চৌধুরী নিজ হস্তে বিধায়কের মঙ্গল কামনায় মহাযজ্ঞ করেছেন। যা নিয়ে সাড়া পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলেও। 

কামারহাটির রথতলার একটি জগন্নাথ মন্দিরে এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। সূত্রের খবর, নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ রায় চৌধুরী ছাড়াও মন্দির কমিটি এই যজ্ঞের আয়োজনে বিস্তর সাহায্য করেছে। এদিন সোমনাথ রায় চৌধুরী জানান, কামারহাটির কাছের মানুষ বিধায়ক মদন মিত্র। তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় এই যজ্ঞ।এদিকে সফল অস্ত্রোপচারের পর এসএসকেমে-র ইএনটি বিভাগের প্রধান ডাঃ অরুণাভ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, আপাতত বিধায়কের গলায় থাকা পলিপিগুলিকে দেখে বিনাইন বলেই মনে হচ্ছে, অর্থাৎ ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম। তবুও বায়োপসির জন্য ইতিমধ্যেই নমুনা পাঠানো হয়েছে। 

তবে অস্ত্রোপচারের আগে বুধবার মদন মিত্রের নানাবিধ রক্তপরীক্ষা, ইকোকার্ডিওগ্রাম ও ইসিজি হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মদন মিত্রর গলায় টিউমারের অবস্থা, পেশি ইনভলভমেন্ট ইত্যাদিও দেখা হয়েছে। এদিকে অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকরা দেখেন একটি নয়, দু'টি পলিপ রয়েছে। ফলে দু'টি পলিপই বাদ দিয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে এই দাপুটে রাজনীতিবিদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে। আর তাতেই স্বস্তি ফিরেছে মদন মিত্রের ভক্ত মহলে। তবে আগামী কয়েকদিন তিনি পুরোপুরি ভাবে ডাক্তারদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলেই জানা যাচ্ছে। আগামীতে আর কোনও নতুন কোনও টেস্ট তাকে করাতে হবে কিনা তা ও নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির উপর।