সংক্ষিপ্ত
- রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বিজেপি কর্মীর মা
- তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রনেতা তাঁর শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ
- অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর
- দোষীদের গ্রেফতার না করলে আন্দোলনে হুঁশিয়ারি বিজেপি-এর
উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে এলাকার রাজনৈতিক অশান্তি চলছে। এবার এক বিজেপি কর্মীর মা-এর শ্লীলতাহানির করার অভিযোগ উঠল। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের এক ছাত্র নেতা ও তাঁর অনুগামীরা। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঝাড়গ্রামে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে থানা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি স্থানীয় নেতৃত্ব। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: পা নামালেই সাপের ছোবল, আতঙ্কে কাঁটা ক্যানিংয়ের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা
ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের বর্গীডাঙা মোড়ে থাকেন প্রসূন দলুই। এলাকায় বিজেপি সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি। রবিবার রাতে বাড়ির কাছেই তৃণমূল কংগ্রেসের এক ছাত্র নেতা ও তাঁর অনুগামীরা ওই বিজেপি কর্মীর উপর চড়া হন বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলের চিৎকার শুনে যখন প্রসূন দলুইয়ের মা পুষ্পলতা বাড়ি বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দাবি, স্রেফ মারধর করাই নয়, তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানিও করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র নেতা ও তাঁর অনুগামীরা। রাতে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার, বালুরঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু
ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির-এর সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ বলেন, 'আমাদের দলের কর্মীকে মারধর করেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলের। এমনকী, তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে। পুলিশ যদি দোষীদের গ্রেফতার না করে, তাহলে গোপীবল্লভপুর থানার ঘেরাও করা হবে।' অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সত্যরঞ্জন বারিক। তাঁর পাল্টা দাবি, রাতে হোটেল থেকে খেয়ে যখন মেসে ফিরছিলেন সংগঠনের সদস্যরা, তখন রাস্তার তাঁদের গালিগালাজ করেন বিজেপি কর্মীরা। মেসে ঢুকে ভাঙচুরও করা হয়। ঘটনার পর আবার থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।