সংক্ষিপ্ত
- শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ৭০তম বলিদান দিবস
- বিজেপির স্মরণানুষ্ঠানে হাজির তৃণমূল বিধায়কও
- বেজায় অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদল
- জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে
দ্বৈপায়ন লালা, মালদহ: করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। স্থগিত হয়ে গিয়েছে পুরসভা ভোট। বিধানসভা ভোটেরও আর খুব বেশি দেরি নেই। এরইমাঝে আবার বিজেপি-র শ্যামপ্রসাদ স্মরণানুষ্ঠানে হাজির হলেন খোদ তৃণমূল বিধায়ক ও পুরসভার প্রশাসক নীহারঞ্জন ঘোষ! বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। মালদহের ঘটনা।
আরও পড়ুন: ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ রাজ্য়ের স্কুল-কলেজ, ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী
তখন বিজেপি ছিল না, ছিল জনসংঘ। এই জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। স্বাধীনতার পর কাশ্মীরের জেলে বন্দি থাকাকালীন মারা যান তিনি। আটের দশকের মাঝামাঝি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জনসংঘ। নাম হয় ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। মঙ্গলবার ছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ৭০তম বলিদান দিবস। সেই উপলক্ষ্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে গেরুয়াশিবির। কলকাতার কেওড়াতলা শ্মশানের শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মাল্যদান করেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মালদহ শহরের শ্যামাপ্রসাদ স্কোয়ারেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিজেপির জেলা কমিটি। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মালদহ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মূর্মূ, দলের রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী-সহ আরও অনেকেই। সেই তালিকায় ছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক ও তৃণমূল বিধায়ক নিহাররঞ্জন ঘোষও! বিজেপি জেলা সভাপতির পাশে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। সেখানে কিন্তু শাসকদলের অন্য কোনও নেতা বা পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হাজির ছিলেন না। স্বাভাবিক কারণে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: কন্যাশ্রী প্রকল্পে 'কারচুপি', প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে পথে নামল পড়ুয়ারা
বিজেপির অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন কেন? তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের সাফাই, 'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না কিনা, জানা নেই। বাঙালি হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধা করি। পুরসভার পক্ষ থেকে সম্মান জানিয়েছি।' তবে বিধায়ক যাই বলুন না কেন, ভোটের মুখে এমন ঘটনায় শাসকদল যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।