সংক্ষিপ্ত
- তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ
- নির্বাচনী হলফনামায় ভুয়ো ডিগ্রি দেওয়ার অভিযোগ
- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরার নির্দেশ
- নির্দেশ জারি করল দিল্লির একটি আদালত
নির্বাচনী হলফনামায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লির একটি আদালত। আগামী ২৫ জুলাই দিল্লির আদালতে হাজিরা দিতে হবে তৃণমূল সাংসদকে।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগেই সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুল রায়, দেখুন ভিডিও
অভিযোগ, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার করার সময় অভিষেক যে হলফনামা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছিলেন, তাতে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য ছিল। সার্থক চতুর্বেদী নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ, হলফনামায় অভিষেক উল্লেখ করেন ২০০৯ সালে তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বা আইআইপিএম থেকে এমবিএ পাশ করেন। ওই আইনজীবীর অভিযোগ, আইআইপিএম-এর থেকে পাওয়া ওই এমবিএ ডিগ্রি উউজিসি বা ভারত সরকারের কোনও প্রতিষ্ঠান স্বীকৃত নয়। ফলে, নিজের এমবিএ ডিগ্রি রয়েছে বলে উল্লেখ করে ভুল তথ্য দিয়েছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন- 'হিন্দু অনেক মরেছে আরও কিছু মরুক', ফাঁস হল দিলীপ ঘোষের ভাইরাল ভিডিওর রহস্য
অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে তা মেনে নিয়েছে আদালত। সেই অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৫এ ধারায় তৃণমূল সাংসদকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক সমর বিশাল এই নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের মতে, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
আরও পড়ুন- মমতার নয়া ব্যাখ্যা- 'হেডলেস প্রন, লেগলেস চিকেন'
তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, পরবর্তী শুনানির দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য তুলে ধরা হবে। শাসক দলের দাবি, ওই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আর অভিষেক ২০০৯ সালে এই ডিগ্রি পেয়েছিলেন। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তাঁর ডিগ্রির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ২০১৯ সালের নির্বাচনের জন্য তিনি যে হলফনামা দিয়েছেন, সেখানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করেই হলফনামা পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।