সংক্ষিপ্ত
কৃষ্ণনগর পুরসভা ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি-র জয় এবং তৃণমূলের পরাজয়ের কথা বলেন খোদ মুকুল রায়। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
তিনি বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এমনকী, রাজ্য থেকে বিজেপিতে হটানোর সংকল্পও নিয়েছেন। কিন্তু, তারই মাঝে হঠাৎ তাঁরই মুখে শোনা গেল বিজেপি-র জয়ের ভবিষ্যদ্বাণী। কৃষ্ণনগর পুরসভা ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি-র জয় এবং তৃণমূলের পরাজয়ের কথা বলেন খোদ মুকুল রায়। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। তবে বিজেপি ত্যাগ করলেও এখনও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি তিনি। দলত্যাগ বিরোধী আইনে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তুলেছে বিজেপি। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে কৃষ্ণনগরে যান মুকুল। সেখানে পুরসভায় গিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। আর সেখানেই তাঁর মুখে শোনা গেল তৃণমূলের হারের ভবিষ্যদ্বাণী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "সামগ্রিক ভাবে কৃষ্ণনগরে মানুষের আশীর্বাদ সঙ্গে ছিল। তারই ফল মিলেছে। বিজেপির একজন প্রতিনিধি হিসেবে বলতে পারি উপনির্বাচনে এবার তৃণমূল কংগ্রেস পর্যুদস্ত হবে। ভারতীয় জনতা পার্টি স্বমহিমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে।"
আরও পড়ুন- টানা বৃষ্টিতে এখনও জলমগ্ন ঘরবাড়ি, চরম ভোগান্তি বাসন্তীর বাসিন্দাদের
"
এদিকে মুকুলের এই মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যান সঙ্গে থাকা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তিনি এই মন্তব্য করছেন এটা বুঝতে পেরে পাশ থেকে তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন দলীয় নেতারা। কিন্তু, বার বার একই কথা বলতে থাকেন তিনি। অবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পেরে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। শেষে মুকুল বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবে মানে নিজস্ব ভূমিকায় ফিরে আসবে। নিজের ক্ষমতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবে। বিজেপি-র কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।"
আরও পড়ুন- দ্রত উপনির্বাচনের দাবি, আজ ফের কমিশনের দ্বারস্থ হবে তৃণমূল, কী বলছে BJP
আরও পড়ুন- মা অসুস্থ, ৭ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন পাবেন রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু
বিধানসভা ভোট মেটার পর তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। এই মুহূর্তে দলের শীর্ষনেতাদের তালিকায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু, তাঁর মতো এক নেতা কীভাবে এই ধরনের বেফাঁস মন্তব্য করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কী তাঁর দেহ তৃণমূল কংগ্রেসে আর মন বিজেপিতে রয়েছে, এই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "কেউ বলতে পারেন ওঁর শারীরিক অবস্থার ঠিক নেই, কেউ বলতে পারেন মানসিক চাপে রয়েছেন। আমরা ওঁর সুস্থ জীবন ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। উনি বিজেপিতে নেই এখন। উনি কৃষ্ণনগরের মানুষের সঙ্গে বেইমানি করেছেন।"