সংক্ষিপ্ত
বিহারে এনডিএ-র এই ধরসায়ী অবস্থা নিয়ে রীতিমত কটাক্ষ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন সমালোচনায় সরব হয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির নাম না নিয়েই কটাক্ষ করেছেন দেবাশু ভট্টাচার্য।
বিহারে বিজেপি ও জেডিইউ সরকার পতন এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষায়। কারণ ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে পদ্ম ছেড়ে পুরনো জোটসঙ্গী তেজস্বী যাদব বা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হাত ধরে রাজভবনে গিয়েছেন নতুন জোটের কথা জানাতে। বিহারে এনডিএ-র এই ধরসায়ী অবস্থা নিয়ে রীতিমত কটাক্ষ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন সমালোচনায় সরব হয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির নাম না নিয়েই কটাক্ষ করেছেন দেবাশু ভট্টাচার্য।
তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বে থাকা দেবাশু ভট্টাচার্য মাত্র চারটি শব্দ লিখেই নিশানা করেছেন বিজেপিকে। তিনি টুইটারে লিখেছেন 'মহারাষ্ট্র গন বিহার অন'। যার অর্থ মহারাষ্ট্র বিজেপি দখল নিলেও বিহারে শেষ রক্ষা হল না।
এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ বিহারের ইস্যুতে তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ জুটিকে রীতিমত আক্রমণ করেন। এই প্রসঙ্গ সংসদের অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়ার কথাও উত্থাপন করেন।
ডেরেক ওব্রায়েন টুইট করে বলেছেন, সংসদের অধিবেশন নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ধ করে দেওয়ার আরও একটি বড় কারণ হল বিহারের রাজনীতি। আর এই জন্য দায়ি অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী।
কারণ বাদল অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ১২ অগাস্ট। কিন্তু তড়িঘড়ি অধিবেশন শেষ করে দেওয়া হয়েছে গত ৮ অগাস্ট। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়েরে চার দিন আগে। কেন্দ্রীয় সরকার কারণ হিসেবে বলেছে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল তা সবই হয়েছে। মধ্যে মহরম ও রাখির ছুটি থাকায় সাংসদরা বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই অধিবেশন নির্ধারিত সময়ের আগেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। যা মানতে রাজি নয় বিরোধীরে। প্রথম থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে রীতিমত সরব হয়েছিলেন ডেরেক। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন। বলেছেন সংসদকে উপহাসে পরিণত করা বন্ধ করুন। 'আমরা এর পবিত্রতার জন্য লড়াই করব। মোদী অমিত শাহ ওই মহান প্রতিষ্ঠানটিকে গুজরাটের জিমখানায় পরিণত করা থেকে বিরত রাখব। '
নীতিশ কুমার এদিন সকাল থেকেই যে লালু প্রসাদের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন সেই লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবীর বাড়িতে গিয়ে বিহারে অ-বিজেপি জোট নিয়ে পাকা কথা বলে আসেন। আর নতুন রাজনৈতিক জোট ঘিরে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না হয় তার জন্য আগামী নিজের বাড়ির পাশাপাশি রাবড়ি দেবীর বাড়িতেও কড়়া নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করেন। বিজেপির সঙ্গ ছাড়লে আগামী দিনে বিহারের রাজনৈতির পাটিগণিত কী হবে? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুনঃ
কেরলে জঙ্গলের মধ্যে মাটি খুঁড়তেই অত্যাশ্চর্য, বেরিয়ে এল হাজার বছরের পুরনো শিবলিঙ্গ
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা, ২ হাজার কিলোমিটার পথ হাঁটছেন হরি
বিহারে পাশা উল্টে গেল বিজেপির, জানুন নীতিশ-তেজস্বীর রাজনৈতিক সমীকরণ