সংক্ষিপ্ত
পোস্টারগুলির কোনওটিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না, যা ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে তৃণমূলের পোস্টারগুলির জন্য খুব বিরল একটা ঘটনা৷
পোস্টারগুলির কোনওটিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না, যা ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে তৃণমূলের পোস্টারগুলির জন্য খুব বিরল একটা ঘটনা৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়, দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জির ছবি সহ 'নতুন এবং সংস্কারকৃত তৃণমূল কংগ্রেস ছয় মাসের মধ্যেই তৈরি হবে' দাবি করে পোস্টারগুলি কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে৷ পোস্টারগুলি বেশিরভাগ দক্ষিণ কলকাতার হাজরা এবং কালীঘাট এলাকায় লাগানো হয়েছিল। উভয়ই ভবানীপুরে তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বাসভবনের কাছে লাগানো হয়েছে। প্রচারের দায়িত্ব স্বীকার করেছে ‘আশ্রিতা’ ও ‘কলরব’ নামে দু’টি সামাজিক সংগঠন। যার সভাপতি কালীঘাট-রাসবিহারী অঞ্চলের তৃণমূল নেতা কুমার সাহা।
ছয় মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল’-এর কথা অভিষেকের মুখে শোনা গিয়েছিল কয়েক মাস আগে। আলিপুরদুয়ারের একটি দলীয় সমাবেশে তিনি দলের অভ্যন্তরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে এই ঘোষণা করেছিলেন। তখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারী বা দুর্নীতি কিছুই সামনে আসেনি। ফলে অভিষেকের ওই ঘোষণাকে সেই সময় দলের ভিতরের ‘সংস্কারের উদ্যোগ’ হিসেবেই মনে করা হয়েছিল। তারপরে বর্তমানে পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিয়েছে তাতে, মন্ত্রিসভায় এবং দলে বড় রদবদলের প্রক্রিয়া অনিবার্য হয়ে ওঠে। দেখা যায়, সেই রদবদলে যেসব নতুন মুখ উঠে এসেছে তাদের সিংহভাগই অভিষেকের ঘনিষ্ঠ অথবা পছন্দের।
যদিও দলের বেশিরভাগ নেতা এই বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন, তৃণমূলের রাজ্য মহাসচিব কুণাল ঘোষ, যাকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়, বলেছেন পোস্টারগুলিতে কোনও ভুল নেই। 'বারবার, অভিষেক ব্যানার্জি বলেছেন যে আমাদের শিখতে হবে এবং নিজেদেরকে উন্নত করতে হবে। আমাদের জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করতে হবে। তাই হয়তো কিছু অতি-উৎসাহী পার্টি কর্মীরা অতীতে জারি করা তার উদ্ধৃতি সহ পোস্টার লাগিয়েছেন,' কুণাল ঘোষ বলেছেন। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের মতে, দলের পুরনো নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারের ফলে দলের মধ্যে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে। কারণ এটি সংগঠনে তরুণ ব্রিগেডের দখলকে আরও শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুনঃ
এবার নজরে অনুব্রতর দেহরক্ষী, ৪৪ লক্ষ নগদ থেকে আরম্ভ করে মিললো ৩৫ টি বেআইনি সম্পত্তির হদিশ
SSC SCAM: অর্পিতার পর পার্থকে জেরা, বুধবার সকাল ১১টায় প্রেসিডেন্সি জেলে যাচ্ছে ED - বলছে সূত্র
মমতার স্বাধীনতা দিবসের ডিপি থেকে জওহরলাল নেহেরু গায়েব, বিজেপি-তৃণমূল যোগ খুঁজছে কংগ্রেস
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, রাজ্য কংগ্রেস প্রধান অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছিলেন যে এই পোস্টারগুলি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ-দলীয় লড়াইয়ের ফলস্বরূপ। গত এক বছর ধরে, তৃণমূলের মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ-দলীয় লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসছে৷ তবে তা ভাল হোক বা মন্দ হোক, এই সত্যটি মেনে নেওয়ায় কোনও ক্ষতি নেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও আছেন এবং ভবিষ্যতেও চালিকা শক্তি হয়ে থাকবেন ৷'