সংক্ষিপ্ত
বাংলায় কাজ নেই শ্রমিকদের জন্য! আর তাই ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যাওয়ার পথে ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের।
কয়েকদিন আগেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বাংলার ৪ পরিযায়ী শ্রমিক(Migrant Worker)। মৃতদের মধ্যে পুরুলিয়ার(Purulia) ৩ জন ও বাঁকুড়ার ১ জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন বলে জানা যায়। এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল মুর্শিদাবাদে(Murshidabad)। এদিকে বাংলায় কাজ নেই শ্রমিকদের জন্য! আর তাই ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে যাওয়ার পথে ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের(Death of Bengali Migrant Worker)। মৃতের নাম একলাল চৌধুরী(৩৫)। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের রামবাগ এলাকায়। ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারের মধ্যেও।
জানা গিয়েছে, রামবাগের বাসিন্দা একলাল চৌধুরী করোনাকালে কাজ হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন । অবশেষে নতুন কাজের খোঁজেই মুম্বইয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু যাওয়ার পথে ট্রেনেই অসুস্থ হয়ে পড়েন একলাল। তার বন্ধুরা তখনই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্ত সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর ফের তার সঙ্গীদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেন। এদিকে দুই সন্তানের বাবা একলালের স্ত্রী বছর আড়াই মাস আগে মারা গিয়েছেন বলে পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে। মৃতের বাড়িতে তার দুই সন্তান ছাড়াও রয়েছে তার বিধবা মা। ফলে পরিবারের এক মাত্র রোজগেরে ব্যক্তির মৃত্যুতে গোটা পরিবার পড়েছে অথৈয় জলে। একলালের দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে রিহান চৌধুরী নবম শ্রেনীর ছাত্র ও মুস্কান চৌধুরী সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
আরও পড়ুন-মদ বিক্রি বন্ধ নিয়ে মমতাকে প্রশ্ন মেধার, বাণিজ্যনগীরতে অস্বস্তিতে তৃণমূল সুপ্রিমো
একলালের অকাল মত্যুতে প্রশ্ন চিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছে দুই ছেলে মেয়েরার পড়াশোনাও। ছেলের মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী মেমজান বিবি। তিনি বলেন, “এখন আমি কাকে নিয়ে বাঁচব , ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা কি ভাবে হবে তা ভেবে পাচ্ছিনা।” এই ব্যাপারে মৃতের আত্মীয় তারিফ মহালদার বলেন, “ এই খবর পাওয়ার পর আমরা স্তব্ধ হয়ে পড়েছি। একজন সুস্থ মানুষ কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই মারা গেলেন। ফলে পরিবারের কাউকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই।” তারিফ সাহেব অবশ্য কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-বিভাজনের রাজনীতি করে ক্ষমতায় আসা যায় না, প্রচারে বেরিয়ে পদ্ম শিবিরকে তীব্র কটাক্ষ ফিরহাদের
এদিকে কয়েকদিন আগেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় বাংলার যে ৪ পরিযায়ী শ্রমিক প্রাণ হারান মধ্যে দুজন পুরুলিয়ার বরাবাজারের সিন্দরী গ্রামের বাসিন্দা। নাম নির্মল মাহাতো, বয়স ৩৫ বছর এবং দুর্যোধন মাহাতো, বয়স ২৩ বছর। অপরজন লাকা গ্রামের বাসিন্দা চারু মাহাতো, বয়স ২৫ বছর। আরেকজনের নাম জানা না গেলেও, তিনি বাঁকুড়া জেলার খাতড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।