সংক্ষিপ্ত

সদ্য ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অনিল রজক তৃণমূল কর্মী সন্তোষ জয়সওয়াল ও তার দলবলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে খবর।

তৃতীয়বার মসনদে বসেও যেন স্বস্তিতে নেই শাসকদল(Ruling Party) তৃণমূল। কারণ অবশ্যই দলের শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথেই বাড়তে থাকা গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। আর তাতেই চাপ বাড়ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপর। এমতাবস্থায় ফের প্রকাশ্যে এসে গেল ব্যারাকপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সদ্য ব্যারাকপুরের(Trinamool in Barrackpore) বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর(Raj Chakraborty) হাত ধরে বিজেপি(BJP) ছেড়ে তৃণমূলে(TMC) যোগ দেওয়া অনিল রজক তৃণমূল কর্মী সন্তোষ জয়সওয়াল ও তার দলবলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন বলে খবর।

এদিকে অনিল রজক মনীষ শুক্লা, বিশাল যাদবের অনুগামী বলে পরিচিত। এই দুজনের হাত ধরেই তার রাজনীতিতে প্রবেশ। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূল করতে শুরু করেন তিনি। প্রায় দশ বছরের বেশি সময় তৃণমূল করার পর ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি বিধানসভা ভোটের পরে ফের ফিরেছেন পুরনো দলে। আর তাত নিয়ে দলের মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। আদি তৃণমূলদের অনেকেই তার প্রত্যাবর্তন মেনে নিতে পারেনি বলে খবর। যা নিয়ে ব্যারাকপুরে প্রায়শই অশান্তির খবর মিলত। এদিকে তার দাদার অভিযোগ রবিবার রাতে বন্ধুর দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যারাকপুর শান্তিবাজারে সন্তোষ জয়সওয়াল তার দলবল নিয়ে তার ভাইয়ের উপর চরাও হয়। এর আগেও একাধিক বার তার ভাইয়ের উপর আক্রমণ হয়েছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন-ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ, বিয়ের আসরেই জয় শ্রী রাম বলে চলল গুলি

এদিন ইট, রড, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর নিটকবর্তী হাসাপাতেল নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার অবনিত হওয়ায় তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। অবশেষে তিনটে হাসপাতাল ঘুরে বর্তমানে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অনিল রজক। এদিকে ইতিমধ্যেই পরিবারের পক্ষ থেকে টিটাগড় থানায় দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে শাসক দলের এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে বাইরে থেকে নীরব দর্শকেরই ভূমিকা নিয়ে বিজেপি। তবে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির। তাদেরও সাফ দাবি নব্য তৃণমূল আর আদি তৃণমূল দ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতিদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনায় বিস্তর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।