সংক্ষিপ্ত
- আগেও একাধিক বার আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে
- জঙ্গলমহলের জনপ্রিয় বাদনা পরবের আগে ফের হানা
- সাঁকরাইল ব্লকে আবারও আতঙ্ক ছড়াল
- এই নিয়ে গত কয়েক মাসের মধ্যে তিনবার
পুজোর আনন্দ ম্লান হতে চলেছে সাঁকরাইল ব্লকের বাসিন্দাদের। হাতির আতঙ্ক ছিলই, নতুন করে অজানা জন্তুর আক্রমণ। যার জেরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
আগেও একাধিক বার আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। কালীপুজোর পর জঙ্গলমহলের জনপ্রিয় বাদনা পরবের আগে সাঁকরাইল ব্লকে আবারও আতঙ্ক ছড়াল। এই নিয়ে গত কয়েক মাসের মধ্যে তিনবার সাঁকরাইল ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে আজানা জন্তুর হানার ঘটনা ঘটল। গোয়াল ভেঙে ছাগল, ভেড়া মেরে খাওয়ার ঘটনা বার বার ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে। রবিরাব রাতে এই ঘটনা ঘটেছে সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী অঞ্চলের নোয়াগা গ্রামে। গ্রামের এক ব্যক্তির ঘরের বেড়ার দেওয়াল ভেঙে তিনটি ছাগল মেরে ফেলে জন্তুটি।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, দুটি ছাগল সম্পূর্ণ মেরে খেয়ে ফেলেছে ওই অজানা জন্তু। মারা হয়েছে একটি ছাগলও। এর আগে অন্যান্য গ্রামগুলিতে ভেড়া মেরে খেয়েছিল অজানা জন্তু। প্রতিবার প্রায় একই রকম কায়দায় আক্রমণের ঘটনায় পায়ের ছাপ পাওয়া গেলেও জন্তুটি চোখে পড়েনি কারও । এমনকী আগের বার ডাহি গ্রামের ঘটনার ক্ষেত্রে বন দফতর টোপ দিয়ে খাঁচা পাতলেও তাতে ধরা পড়েনি কোনও জন্তু। গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, বাদনা পরবের মাঝে গ্রামে এই রকম ঘটনা ঘটায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এদিন ভোড় পাঁচটা নাগাদ দেখা যায় গ্রামের এক জনের ছাগল মেরে নিয়ে গিয়েছে। কী ধরনের জন্তু এটি আমরা বুধতে পারছি না। যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছি।
গত জুলাই মাসে রোহিনী অঞ্চলের ডাহি গ্রামে অজানা জন্তুর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। সেই গ্রামে ছয়টি ভেড়াকে মেরে ফেলেছিল জন্তুটি। তার মধ্যে দুটির খোঁজ পাওয়া যায় নি। সেই ঘটনায় গ্রামে বাঘের আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনার কয়েক মাস পরেই কিছুদিন আগে সাঁকরাইল থানার ধানঘোড়ি অঞ্চলের মুরাকাটি গ্রামে একই ভাবে গোয়াল ভেঙে সাতটি ভেড়ার উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। বেশ কয়েকটিকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ওই অজানা জন্তু। বেশ কয়েকটি ভেড়া আহত হয়েছিল। আবার সেই একই রকম কায়দায় রোহিনী অঞ্চলের নোয়াগা গ্রামে ছাগল মেরে খেল অজানা জন্তু। গ্রামবাসীরা বুঝতে পারছেন না জন্তুটি কী হতে পারে।
আগের ঘটনার ক্ষেত্রে বন দফতরের ধারনা ছিল,যেভাবে আক্রমণ হয়েছিল সেই প্রকৃতি দেখে মনে হয়েছিল ইন্ডিয়ান গ্রে উলফ। দলবদ্ধভাবে আক্রমণ সাধারণত করে উলফ বা নেকড়ে বাঘ। নোয়াগা গ্রামের ক্ষেত্রে আক্রমণ দলবদ্ধভাবে হয়েছিল না কি কোনও একটি জন্তু আক্রমণ করেছিল তা খাতিয়ে দেখছে বন দফতর। তবে রোহিনী অঞ্চলের দুটি গ্রামে এই নিয়ে দু বার অজানা জন্তুর আক্রমণের ঘটনা ঘটল। সাঁকরাইল ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে বার বার একই রকম ঘটনা ঘটনায় গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দানা বাঁধছে। কোন জন্তু দেখলেই গ্রামবাসীদের বন দফতরকে খবর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে খড়্গপুরের ডিএফও অরূপ মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।