সংক্ষিপ্ত

আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ঐ ৭ পুরসভার বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। শাসকদলের তরফে প্রায় প্রত্যেকটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে যাঁরা বসবেন, তাঁদের নাম রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

মুর্শিদাবাদ জেলার (Murshidabad) সাত পুরসভায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদ (formation of seven municipalities) শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের কোন গোষ্ঠীর নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেই নিয়ে এখন শুরু হয়েছে জোর জল্পনা উত্তর থেকে দক্ষিণে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূলের রাজনীতির অন্দরের চোরাস্রোত (Unrest within TMC)। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ঐ ৭ পুরসভার বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে বলে বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। শাসকদলের তরফে প্রায় প্রত্যেকটি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে যাঁরা বসবেন, তাঁদের নাম রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

রাজ্যের সিলমোহর দেওয়ার পরই বোর্ড গঠন করা হবে। সূত্রের খবর, বহরমপুর, বেলডাঙা, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ, কান্দি, জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পুরসভার প্রত্যেকটিতে নাম চূড়ান্ত করেছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতারা। লালবাগ মহকুমা শাসক বলেন, প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারির সর্বোচ্চ এক মাসে মধ্যে বোর্ড গঠন হবে। নোটিফিকেশন জারির পর জেলাশাসক এসডিওর নামে অর্ডার বের করবেন। তারপর কমপক্ষে সাতদিনের ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ডেট ঠিক করবেন, এরপর বোর্ড গঠন হবে"। 

সবথেকে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে অধীর গড় বহরমপুর পৌরসভা ঘিরে। পুরসভা ২৮টি ওয়ার্ডের ২২টিতে জয় পেয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। এই পুরসভা দখলের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন টাউন সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকেই চূড়ান্ত করছে দল বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ২২জন কাউন্সিলারের সই সহ নাড়ুবাবুকে চেয়ারম্যান করার দাবিপত্র রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেই দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে বরাবরই তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। দল অনুমতি দিলেই দায়িত্ব পালন করব"।

ভাইস চেয়ারম্যানের দৌড়ে আছে জয়ন্ত প্রামাণিক। যদিও এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল অনেক। তাই ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কোনও মহিলা কাউন্সিলারকে বেছে নিতে পারে দল। সেক্ষেত্রে অপর্ণা শর্মার নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও বাসিন্দারা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে শিক্ষিত নতুন মহিলা কাউন্সিলারকে দেখতে চাইছেন। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান পদে প্রসেনজিৎ ঘোষের(মনু) নাম ভেবেছে দল। 

মুর্শিদাবাদ পুরসভায় দু’টি নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। প্রাক্তন প্রশাসক ললিতা দাস নন্দীর নাম যেমন উঠে আসছে, তেমনই জেলা সভাপতি শাওনি সিংহরায়ের ঘনিষ্ঠ ইন্দ্রজিৎ ধরের নামও শোনা যাচ্ছে। বেলডাঙা পুরসভায় শাসকদল একক সংখ্যাগিরিষ্ঠতা না পেলেও বোর্ড গঠনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। এমনকী ১০নম্বর ওয়ার্ডের অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান হিসেবে চাইছে স্থানীয় নেতৃত্ব। কান্দি পুরসভায় দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় ও দেবল দাসের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। 

জঙ্গিপুরে ফিরোজ শেখের নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। পাশাপাশি আর এক কাউন্সিলার মফিজুল ইসলামের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। ধুলিয়ান পুরসভার ২১টি আসনে শাসকদল জয়ী হয় ১১টিতে। কংগ্রেস সাতটি ও নির্দল তিনটি আসনে জয়ী হয়। তিন ওই নির্দল জয়ী প্রার্থী শাসকদলের টিকিট না পেয়েই ভোটে লড়েন। সূত্রের খবর, শাসকদলের ১১জন জয়ী প্রার্থীর মধ্যে দশজনকে গোপন আস্তানায় রেখেছে দল।সব মিলিয়ে এখন নজর মুর্শিদাবাদের ৭ পুরসভার দিকেই