সংক্ষিপ্ত
রবিবার নিউটাউনের ইসকন মন্দিরের গোশালায় দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। ইসকনের কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
দুর্গাপুজোকে (Durga Puja) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। দশমীর দিন নোয়াখালির (Noakhali) ইসকন (ISKCON) মন্দিরে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তার এক দিন পরই মন্দির লাগোয়া একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় এক ভক্তের দেহ। মৃতের নাম প্রান্তচন্দ্র দাস (২৬)। দশমীর (Dashami) রাতে প্রায় ৫০০ দুষ্কৃতী ওই মন্দিরে চড়াও হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ভক্তদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এর আগে কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের এই ঘটনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি যে সরব হবে তা আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। আর এবারও সেটাই হয়েছে।
রবিবার নিউটাউনের ইসকন মন্দিরের গোশালায় দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar)। ইসকনের কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রবি ও সোমবার বিজেপি জেলায় জেলায় কর্মসূচি করবে। বিভিন্ন জেলায় এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হবে কলকাতায়। আর সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন- মিলেছে সময়, মঙ্গলবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বাবুল সুপ্রিয়
জয়প্রকাশ আরও জানিয়েছেন, সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে পাঠানো যায় কিনা তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে দল। এদিকে ইসকন একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। রবিবার বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ইসকনের সেবায়েতদের বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে।
আরও পড়ুন- নবান্নের নির্দেশ, সৌন্দর্যায়নের জন্য ১০ কোটি টাকার আলোকসজ্জা মুর্শিদাবাদে
বাংলাদেশের এই হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সেই হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন অতিরিক্ত জেলা শাসক মহম্মদ তারিকুল ইসলাম। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁদেরকে কমিটির কাছে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও সাম্প্রদায়িক হানাহানিকে তাঁরা বরদাস্ত করবেন না।
আরও পড়ুন- উত্সবের মরশুমে জ্বালানির জ্বালায় জ্বলছে সাধারণ, আরও বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম
এদিকে ১৯ তারিখের কর্মসূচি প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ বলেন, "রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ১৯ অক্টোবরের কর্মসূচি আক্রান্ত হিন্দুদের কর্মসূচি হয়ে উঠতে চলেছে। যে কোনও মানুষ এই কর্মসূচিতে যোগদান করতে পারেন।" অন্যদিকে, ইসকন মন্দিরের তরফে এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।