সংক্ষিপ্ত
- ইতিমধ্য়েই হেলিকপ্টারে করে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
- ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে জেলা সফরে মমতা
- শুক্রবার মোট তিনটি বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর
- মোদীর বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি মমতার
ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে জেলা সফরের জন্য হেলিকপ্টারে করে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় যশের জেরে বিধ্বস্ত রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকা। বাধ ভেঙে জল ঢুকে ভেসে গিয়েছে একের পর এক গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কবলিত এলাকা গুলি পরিদর্শনে হাওড়া ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে করে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, কলাইকুন্ডা এয়ার ফোর্স স্টেশনে মুখোমুখি মোদী-মমতা, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে হবে আলোচনা
এদিন তিনটি বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। যশের তাণ্ডবের সুন্দরবন বিধ্বস্ত সন্দেশখালি হিঙ্গলগঞ্জ সহ ছটি বিধানসভা আকাশপথে পরিদর্শন করবেন সঙ্গে থাকবে স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এই প্রথম প্রশাসনিক সভা হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয় বৈঠক করবেন তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাগরে বৈঠক করবেন পরে পশ্চিম মেদনাপুর কলাইকুন্ডা এগিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত টানাপোড়েন ছিল বলেও নবান্ন সূত্রে খবর। রাজ্যের পক্ষ থেকেও দিল্লিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। সূত্রের খবর জটিলতার মূল কারণই ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণ বাংলায়, সময়ের আগেই বঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষাও
প্রসঙ্গত, কলাইকুন্ডায় বায়ু সেনার বিমানঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিকে থেকে রাজ্য সরকারকে একটি তালিকা পাঠান হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল শুক্রবারের প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর এই তালিকা দেখেই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে উপস্থিত হওয়া নিয়ে অনীহা প্রকাশ করেন। সূত্রের খবর শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী।
জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাজী জানান, জেলার ২৫টি ব্লকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে রামনগর -১/২,খেজুরি, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, মহিষাদল কোলাঘাট সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রত। জেলায় প্রায় দশ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপর্যয় থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের ফলে রাজ্যের মূলত তিনটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ওই সকল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে করবেন এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বৃহস্পতিবার নবান্নে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। পরে ফিল্ডে গিয়ে খতিয়ে দেখলে আসল ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। সরকারি তথ্যের উপরে ভিত্তি করে এটা দেখা গিয়েছে। তবে এরপর ফিল্ডে গিয়ে সার্ভে হবে। জল না নামলে সেটা সম্ভব নয়। তাই একটু দেরি হবে।'