সংক্ষিপ্ত

পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিনেই প্রচারে নামলেন মহেশতলার তৃণমূল প্রার্থী।  শুভাশীষ দাস এদিন জানান, 'অভূতপূর্ণ সাড়া পাচ্ছি।' 

পুরভোটের ফলপ্রকাশের দিনেই প্রচারে নামলেন মহেশতলার তৃণমূল প্রার্থী। এদিন সকাল থেকেই গণনা শুরু পর একের পর এক ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয় আসে। এদিকে চার পুরনিগমের ভোট দান হয়ে দেখতে দেখতে ফলপ্রকাশও হয়ে গিয়েছে এদিন। আর ততই এবার এগিয়ে আসছে বকেয়া পুরভোট। সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগণার মহেশতলা পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে  ভোট প্রচার সারলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী শুভাশীষ দাস (TMC Candidate Subhasis Das) ।

মহেশতলা পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী শুভাশীষ দাস এদিন জানান, 'অভূতপূর্ণ সাড়া পাচ্ছি। আমার প্রায় ৫ থেকে ৬ দিন প্রচার হয়ে গেল।প্রতিটি বুথে আমি ঘুরছি। প্রতিটা বাড়িতে বাড়িতে আমি যাচ্ছি। প্রতিটা ভোটারদের কাছে পৌছাবার চেষ্টা করছি। মানুষ খুব ভালো সাড়া দিচ্ছে। এবং আমি আশা করি আমাদের ভোটের পরে যেদিন ব্যালটবক্স খোলা হবে, সেখান থেকে শুধু জোড়া ফুল বেরোবে। এখানকার সাধারণ মানুষ একটু সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে জল নিকাশি। এই জল নিকাশের সমস্যা যদি তাড়াতাড়ি সমস্যা মিটে যায়, তাহলে মহেশতলা আর কোন সমস্যা থাকবে বলে মনে হয় না। আর পানীয় জলের যে সমস্যাটা রয়েছে ইতিমধ্য়েই কাজ শুরু হয়ে গেছে প্রজেক্ট শেষ হয়ে যাবে হয়তো আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে যে সমস্যা রয়েছে সেটা মিটে যাবে।'

আরও পড়ুন, 'আমাদের দল মা-মাটি-মানুষের দল', বৈভবের তৃণমূল ভবন চান না মমতা

প্রসঙ্গত, বিধাননগরের পুরভোটে জল নিকাশি ইস্যুকেই হাতিয়ার করে ছিল তৃণমূল। ইস্তাহার প্রকাশ করে  বিধাননগরের ১০ দিগন্ত এর প্রথমেই নিকাশি-নর্দমা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছিল তৃণমূল। যার ফলও সোমবার পুরভোটের ফলপ্রকাশের সকালেই এসেছে হাতেনাতে। ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূল জানিয়েছিল, 'যেহেতু একনাগাড়ে ভারী বর্ষার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে সম্মুখীন হয় বিধাননগরবাসী, তাই জলনিকাশিকে এবার খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, বৃষ্টির এই জমা জলের মোকাবিলায় চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শও নেওয়া হবে। এবং বর্তমানের ৫১ টি পাম্পিং স্টেশনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ হবে। ভূগর্ভস্ত নর্দমাগুলির পলি সংষ্করণ করা হবে। খালগুলিরও পুনরুদ্ধার করা হবে।' 

তবে সব পুরভোট একদিনে হোক প্রথম থেকেই এমনটাই চেয়ে এসেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধী দল। প্রধানত তাঁদের দাবি, একই দিনে ভোট না হলে, যদিও কোনও দল জয়ী হয়, তাহলের সেই সদলের প্রভাব পরের ভোটে পড়ে। এদিকে একুশের বিধানসভার ভোটে বিপুল জয়ের পর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, সবকটিই তৃণমূলের দখলে। তা সে উপনির্বাচনই হোক কিংবা কলকাতা পুরভোট। আর ততই ক্ষোভের আগুনে ধিকি ধিকি জ্বলছে বিরোধীরা। বিশেষ করে পুরভোটের ফলপ্রকাশের পর অন্তত শিলিগুড়ি-আসানসোল নিয়ে উচ্চাকাঙ্খি ছিল বিজেপি-সহ অন্যান্যরা। তবে এবার সেগুড়েও বালি। স্বাভাবিকভাবেই বিপুল জয়ের পরও থেমে নেই তৃণমূল। নতুন উদ্যোমে প্রচারে নেমেছে। বকেয়া ভোট আসার আগেও কি বিরোধী শূন্য হয়ে ফের আরও সাইথিয়া, রামপুরহাট, দিনহাটার মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলকে জিততে দেখবে কিনা তা সময়ই বলবে।