সংক্ষিপ্ত
আজ সকাল থেকেই দেশের অন্য প্রান্তের পাশাপাশি কলকাতাতেও শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ দেওয়া। তবে এই ডোজ এখন সবাই পাবেন না। চিকিৎস, স্বাস্থ্য কর্মী ও ৬০ ঊর্ধ্বদেরও দেওয়া হচ্ছে এই ডোজ। যদিও সব মানুষকেই বুস্টার ডোজ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আজ থেকেই গোটা দেশে চালু হয়েছে করোনা টিকার (Corona Vaccine) প্রিকশন ডোজ বা বুস্টার ডোজ (Precaution Dose)। এই ডোজ চালু করার কথা গত বছর ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। সেই মতোও আজ সকাল থেকেই দেশের অন্য প্রান্তের পাশাপাশি কলকাতাতেও (Kolkata) শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়া। তবে এই ডোজ এখন সবাই পাবেন না। চিকিৎস, স্বাস্থ্য কর্মী ও ৬০ ঊর্ধ্বদেরও দেওয়া হচ্ছে এই ডোজ। যদিও সব মানুষকেই বুস্টার ডোজ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "বুস্টার ডোজ নিয়ে আমাদের স্বাস্থ ভবনের নির্দেশ মেনে চলতে হয়। অনেকে বলছেন, ৯ মাস কেন? তার আগে নয় কেন? আমরা নিরুপায়। কেন শুধুমাত্র ৬০ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে? তার নিচে কত মানুষ আছেন, কোমর্বিড। তাঁদেরও বুস্টার ডোজ দেওয়া দরকার। তবে এই মুহূর্তে সবাই যদি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ফেলেন তাহলে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত বুস্টার নেই। সবাইকে দিতে পারব না।" তবে শুধুমাত্র বুস্টার ডোজই নয়। তাঁর মতে, করোনা টিকাও দেওয়া উচিত সবাইকে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরাও। ফলে তাদেরও অবিলম্বে টিকা দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। বলেন, "শিশুদের কেন টিকা দেওয়া হচ্ছে না? অনেক দেশে ১২ বছর বয়স থেকেই টিকা চালু হয়েছে। আমি নিজে দেখছি শিশুরা আক্রান্ত। আমার মনে হয় এই বিষয়টা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভেবে দেখা উচিত। করোনা বারবার চরিত্র বদলাচ্ছে। টিকা কিন্তু পুরনো। কতটা কার্যকরী থাকছে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কিন্তু, ওই যে বললাম, আমি নিরুপায়। ডেল্টার পর ওমিক্রন। আমি শুনেছি আরও দুবার সে নিজের স্ট্রেন পালটেছে।"
আরও পড়ুন- আজ থেকেই শুরু বুস্টার ডোজ কর্মসূচি, জানুন কীভাবে পাবেন এই টিকা
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। প্রতিদিনই সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। করোনা নিয়ে বার বার সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু, তারপরও উদাসীন রয়েছেন বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত রাস্তা ঘাটে অনেককেই মাস্ক পরতে দেখা যায় না। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, মানুষ সচেতন নন। এখনও ফেস্টিভ শপিং চলছে। একটু নিউ মার্কেট, একটু গড়িয়াহাট। কিছু মানুষের জন্য এখনও করোনার চেন ভাঙতে পারছি না। আমার পাড়ায় সেদিন দেখলাম, কিছু মানুষ মাস্ক ছাড়া ভিড় করে তাস খেলছেন। শাস্তি দিয়ে হয় না। চেতনা আনতে হবে।"
আরও পড়ুন, Municipal Election 2022: বেলাগাম সংক্রমণ, জানুন পুরভোটের আগে ৪ কেন্দ্রের কোভিড পরিস্থিতি
রাজ্যের সব প্রান্তেই থাবা বসাচ্ছে করোনা। তার হাত থেকে এবার আর রেহাই পাচ্ছে না কোনও সরকারি দফতরই। একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন দফতরের বহু মানুষ। করোনা হানা দিয়েছে পরিবহন দফতরেও। আর সেই কারণে পিছিয়ে গিয়েছে বহু কাজ। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "সিএনজি নিয়ে আটকে গিয়েছি। আমার পরিবহন সচিব আক্রান্ত। বাড়িতে আছেন। আজ যিনি অফিসে আসছেন, কাল শুনছি তিনি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে। কাজ এগোতে পারছি না। তবু আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আমরা ভাড়া না বাড়িয়ে বিকল্প জ্বালানি আনবই। বিকল্প পথে রোজগারের ব্যবস্থা করবই।"
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত সুকান্ত, ফোন করে খোঁজ নিলেন মমতা
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। এ বিষয়ে ফিরহাদ বলেন, "সৌজন্যের রাজনীতি মমতার থেকে শেখা উচিত। এটাই প্রথম নয়। জ্যোতি বসুকে প্রণাম, সোমনাথ চট্টপাধ্যায়ের প্রতি সৌজন্য। এগুলোতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের পথিকৃত।"