সংক্ষিপ্ত
‘দিদি তো পাশেই রয়েছেন’, প্রশ্ন শুনে সেটাকেই স্বাভাবিক ধরে নেওয়ার ভঙ্গিমা আত্মবিশ্বাসী অনুব্রতর গলায়। সাংবাদিকদের সামনে প্রথম মুখ খুলেই ধমকের সুর।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, তা তিনি খবর পেয়েছেন নিজের আইনজীবীর কাছ থেকে। এবার বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে প্রথম মুখ খুললেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দলনেত্রীর প্রসঙ্গ তুলে তার উদ্দেশে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দিদি তো আপনার পাশেই রয়েছেন। কী বলবেন? জবাবে অনুব্রত বলেন, ‘‘ঠিকই তো বলেছেন। উনি বলবেন না! এ নিয়ে আমি আর কী বলব।’’
উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে প্রায় ৬-৭ দিন একেবারে মৌন ছিলেন কেষ্ট। বৃহস্পতিবারই প্রথম সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি। একই সঙ্গে কিছুটা পুরনো মেজাজ ফিরতে দেখা গেল অনুব্রতর ভাবভঙ্গিতে। মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে প্রশ্ন করতেই বিরক্ত অনুব্রত। সাংবাদিকদের কষিয়ে প্রায় ধমকই দিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘‘যা বোঝার আদালত বুঝবে। তলব করেনি মেয়েকে। নথি জমা দিতে বলেছে।’’ মেয়ের প্রসঙ্গে জোর গলায় দাবি তুললেন, ‘‘আমার মেয়ে ভাল আছে। আমার মেয়ের পাশ করা আছে। সার্টিফিকেট আছে। চিন্তার কারণ নেই।’’
প্রসঙ্গত, প্রাক্ স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বেহালায় গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই নাকি ‘আত্মবিশ্বাস’ অনেক বেড়ে গেছে তৃণমূল নেতার। অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও যে বীরভূমের ওই নেতার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখা যাচ্ছে তাও সাংবাদিকদের জানান আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। আজ নিজাম প্যালেসের সামনে সম্ভবত সেই আত্মবিশ্বাসেরই ঝলক দেখা গেল।
অনুব্রতের আইনজীবী সোমবার দাবি করেন, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। দলনেত্রীর বার্তা পেয়ে তাঁর মক্কেলের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। অনির্বাণ বলেন, ‘‘উনি জেনেছেন যে, দলনেত্রী ওঁকে সমর্থন করেছেন। তাতে ওঁর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। উনি বলেছেন, আমি জানতাম দিদি আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন। আমাকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার সঙ্গে কোনও ভাবে এই ঘটনার যোগ নেই।’’
আরও পড়ুন-
টেট পাস না করেই চাকরি? হাইকোর্টে সশরীরে হাজিরা দিতে আসছেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা
কোটি টাকার লেনদেন সত্ত্বেও অনুব্রত-কন্যার বাড়িতে সময় মাত্র ১০ মিনিট, কেন চলে গেলেন সিবিআই কর্তারা?
এবার নজরে অনুব্রতর দেহরক্ষী, ৪৪ লক্ষ নগদ থেকে আরম্ভ করে মিলল ৩৫-টি বেআইনি সম্পত্তির হদিশ