সংক্ষিপ্ত

হাসপাতলের হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের। নদিয়ার জেএনএম হাসপাতালে ৪০ পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য বরখাস্ত করা হল।

 

শুরু হয়ে গেল স্বাস্থ্য বিভাগ সাফাই অভিযান! 'থ্রেট কালচার' বা ' হুমকি সংস্কৃতি' নিয়ে সরব হয়েছিল জুনিয়ার ডাক্তাররা। তারা যে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছিল তার শেষ বা পঞ্চম দাবিটি ছিল রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে ভয়মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এবার সেই 'থ্রেট কালচার' বা ' হুমকি সংস্কৃতি' র বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল নদিয়ার ডেএনএম হাসপাতাল। আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতা তরুণী এই নডিয়ার এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই এমবিবিএস পাশ করেছেন। এই মেডিক্যাল কলেজের ৪০ ডন ছাত্রকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, প্রাক্তন অধ্যক্ষ-সহ দুই কর্তাকেও পড়তে হয়েছে শাস্তির মুখে।

সূত্রের খবর 'উত্তরবঙ্গ লবি'র প্রধান হিসেবে পরিচিত অভীক দে। তার অনুগামীরাই দিনের দিন কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে 'থ্রেট কালচার' বা ' হুমকি সংস্কৃতি' চালাত। তৈরি করেছিল 'থ্রেট সিন্ডিকেট'। অভিযুক্ত ছাত্রদের অন্যতম হল- স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র শেখ মহম্মদ অখিল, ইন্টার্ন আলিম বিশ্বাস, চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তথা তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির বর্তমান সভাপতি বিচিত্রকান্তি বালা এবং ওই বর্ষেরই আব্দুল হালিম দফাদার। এই ৪ জনের সঙ্গে আরও ৩৬জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ মাস ৪০ জন পড়ুয়া কোনও পরীক্ষায় বসতে পারবে না। তদন্ত সংক্রান্ত বিষয় বাদে অন্য কোনও কারণে কলেজে বা হোস্টেল প্রবেশ করতে পারবে না। নদিয়া জেএনএম হাসপাতালের দরজাও এদের জন্য আগামী ৬ মাস বন্ধ থাকবে।

এই মেডিক্যাল কলেজের অনেক পড়ুয়াদের অভিযোগ, সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন হোস্টেল সুপার অয়ন ঘোষ এই সিন্ডিকেট ওপরীক্ষা সংক্রান্ত বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দুজনকেই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের প্রশাসনিক পদ ও পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত পড়ুয়ারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের ফাঁসান হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।