সংক্ষিপ্ত

৫ বছরের মেয়ের মুখে রুমাল গুঁজে নির্মম নির্যাতন চালায় ১৫ বছরের কিশোর। উত্তর দিনাজপুরের ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য।

চকোলেট দেওয়ার নাম করে ৫ বছরের ছোট্ট মেয়েকে পাশের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ১৫ বছরের কিশোর। তারই বিরুদ্ধে ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শনিবার। সারা সন্ধ্যা ধরে খোঁজাখুঁজির পর রাত্রিবেলা প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের মানুষজন। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযুক্ত কিশোর পালানোর চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে বেঁধে রাখে স্থানীয়রা। পরে তাকে আটক করে পুলিশ।

উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালবাড়ি বাসিন্দা ওই ৫ বছরের শিশু। পাশের বাড়িতেই থাকত বছর পনেরোর কিশোর। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে চকোলেট দেওয়ার নাম করে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় কিশোর। এর পর মুখে রুমাল গুঁজে তাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালায়। পরে সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে পিঠটান দেয় সে। এদিকে সন্ধেয় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে মা ছুটে আসে প্রতিবেশীর বাড়িতে। ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন একরত্তিকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন সে।

এলাকায় এই ‘কুকীর্তি’র কথা জানাজানি হয়ে যেতেই পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত কিশোর। স্থানীয় মানুষজন তাকে আটকে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাকে বেঁধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আপাতত অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার কথা শুনে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর হানিফউদ্দিন।