সংক্ষিপ্ত

 স্থানীয় সূত্রে জানা যায় 'দিদির দূত' হিসেবে যাওয়া খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে শাসানো হয় তাঁকে এবং পড়ে তাঁকে সকলের সামনেই কষিয়ে থাপ্পর মারেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা।

'দিদির রক্ষাকবচ'-এ অভিযোগ জানাতে এসে মিলল সপাটে থাপ্পর। তৃণমূল নেতার হাতে আক্রান্ত হতে হয় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকার বাসিন্দা সাগর বিশ্বাসকে। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই ওই যুবককে থাপ্পর মারেন এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। আক্রন্তের অভিযোগ 'দিদির রক্ষাকবচ' কর্মসূচীতে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীর হাতে আক্রন্ত হতে হয় তাঁকে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় 'দিদির দূত' হিসেবে যাওয়া খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে শাসানো হয় তাঁকে এবং পড়ে তাঁকে সকলের সামনেই কষিয়ে থাপ্পর মারেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। এখানেই শেষ নয় এরপর ধাক্কা মেরে ঘটনাস্থল থেকে বেরও করে দেওয়া হয় সাগরকে। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

এখানেই শেষ নয় আক্রান্ত যুবকের আরও অভিযোগ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ না খোলার জন্যও তৃণমূল কর্মীরা হুমকি দেয় তাঁকে। প্রাথমিকভাবে গোটা ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে আক্রান্ত যুবক নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিলে ব্যপারটি জানাজানি হয়। এরপরই সাগর বিশ্বাসের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চান রথীন ঘোষ।

প্রসঙ্গত, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষাকবচ কর্মসূচিতে উঠে আসছে মানুষের অসন্তষ। উল্লেখ্য এই দিনই শাসকদলের মিছিল থেকে রাজ্য সরকারের পানীয় জল প্রকল্পের সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্লোগান দেওয়া হয়,'ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দিল কে? মমতা ব্যানার্জি আবার কে।' কিন্তু এরপরই গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলায় অন্য চিত্র উঠে এল। দিকে দিকে মানুষের অসন্তোষ। বাঁকুড়া দুনম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রামে যান তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁকে ঘিরে ধরে নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানান গ্রামবাসীরা। রাজ্য সরকারের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের ঘরে ঘরে পানীয় জল পরিষেবা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় উত্তরে গ্রামবাসীরা জানান এক বছর ধরে জল পাচ্ছেন না তাঁরা। জল সমস্যার পাশাপাশি রাজ্যের আবাস প্রকল্প নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। আবাস প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগও জানান তৃণমূল নেত্রীকে। সায়ন্তিকা গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করেছেন এবং গোটা ব্যপারটির দ্রুত নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছেন।