দিঘার সমুদ্রে জগন্নাথদেবের মূর্তি ভেসে আসার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় এক মহিলা দাবি করেছেন, মূর্তিটি তাঁর মন্দির থেকে ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় বাচ্চারা ভাসিয়ে দিয়েছিল।

৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হবে। ২৯ এপ্রিল হবে মহাযজ্ঞ। প্রস্তুতির যাবতীয় বৈঠকও সেরে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মাঝে ঘটল এক অলৈকিক ঘটনা।

রবিবার বিকেলে দিঘার সমুদ্রে জগন্নাথদেবের মূর্তি ভেসে আসার ঘটনা এসেছে প্রকাশ্যে। ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র। তবে, এই ঘটনাকে মিথ্যা বলে জানালেন স্থানীয় এক গ্রামবাসী কল্পনা জানা।

বলেন, খাদাল গোবরায় দুর্গা মন্দির রয়েছে কল্পনাদেবীর। এক বছর আগে তাঁর মন্দিরে স্থানীয় বাচ্চারা এসে জগন্নাথদেবের ওই মূর্তি বসিয়ে দিয়েছিল। মন্দিরে পুজোও করছিলেন তিনি। ২ মাস আগে মূর্তিটির কোনও কারণে হাত ভেঙে গিয়েছিল। মুখটাও ফেটে গিয়েছিল। এরপর মন্দিরের পুরোহিতকে জিজ্ঞেস করে কল্পনাদেবীকে ভাঙা মূর্তি রাখতে বারণ করেন তিনি। এই অবস্থায় রবিবারই স্থানীয় বস্তির বাচ্চারা দুপুর ২টো নাগাদ ভাসিয়ে দিয়ে আসে সেই মূর্তি।

রাতে এই ঘটনা তিনি জানতে পারেন তিনি। তিনি বলেন, মূর্তি ঘিরে যে অলৌকিক প্রচার চলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওই মূর্তি ভেসে আসেনি। তিনি বলেন বাচ্চারাই কুড়িয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা পুজো করতাম, সেই ফটোও আছে। চাইলে দেখিয়েও দিতে পারব। আমাদের দুর্গা মন্দির, তাই আর নেওয়া সম্ভব না। সে কারণেই ভাসিয়ে দিয়ে আসা হয়েছিল।

অবনী সামন্ত নামে এক ব্যবসায়ী পুজো করছেন শুনে কল্পনা জানা বলেন, পুজো করুন তাতে আপত্তি নেই। তারা মূর্তি রাখতেই পারেন। তবে কোনও অলৌকিক কাহিনী নেই, যা রটছে তা মিথ্যে।

দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাছে একটি ঘাট তৈরি হচ্ছে। সেখানে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথের মাসির বাড়ি। রবিবার মিস্ত্রিরা কাজ করতে করতে দেখেন হঠাৎ করে জগন্নাথদেবের মূর্তিটি সেখানে ভেসে আসছে। এরপরই সকলে ফুল মালা নিয়ে ছুটে আসেন। ছবি পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তে ভাইরাল হয় খবর। সকলে বিষয়টিকে অলৌকিক বলে মনে করেন। পরে যদিও জানা যায় সত্যতা।