সংক্ষিপ্ত

জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দিঘায় প্রতিদিনই পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। বহু মানুষ সমুদ্র উপভোগ করতে যান। কিন্তু দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে অনেকেই বিপদে পড়েন। মধ্যমগ্রামের একটি পরিবারেই ঘনিয়ে এল চরম বিপদ।

উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যমগ্রাম থেকে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকত শহর দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিল ১৪ বছরের কিশোর শুভজিৎ দে। সব ঠিকঠাকই ছিল। একসঙ্গে সমুদ্রে স্নান করতে গিয়েছিল দুই ভাই। তারা সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছিল। হঠাৎই ঘনিয়ে এল বিপদ। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে করতে কতটা এগিয়ে গিয়েছিল খেয়াল করেনি শুভজিৎ ও তার ভাই বিশ্বজিৎ। ঢেউ সামলাতে না পেরে সমুদ্রে তলিয়ে যায় শুভজিৎ। দাদার বিপদ দেখে তাকে বাঁচাতে ঢেউয়ের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশ্বজিৎ। কিন্তু তার পক্ষেও উত্তাল সমুদ্রে টাল সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেও জলে তলিয়ে যেতে থাকে। দুই ভাইকে সমুদ্রে তলিয়ে যেতে দেখে তাদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন দিঘা থানার সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। তাঁরা বিশ্বজিৎকে উদ্ধার করেন। কিন্তু শুভজিৎকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সে জলে তলিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া।

তলিয়ে যাওয়া কিশোরের খোঁজে তল্লাশি

দিঘা থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমুদ্রে কিশোরের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরেই তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। দিঘা থানার ওসি পাত্র-সহ পুলিশকর্মীরা স্পিড বোট নিয়ে সমুদ্রে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই কিশোরের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অসতর্কতার কারণই তলিয়ে গেল কিশোর?

দিঘার সমুদ্র সৈকতে গার্ডওয়ালে গত কয়েক দশক ধরে স্পষ্ট লেখা আছে, জোয়ারের সময় সমুদ্রে স্নান করতে নামা নিষিদ্ধ। বিশেষ করে যেখানে বোল্ডার বেশি, সেখানে সবসময়ই বিপদের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু অনেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে না। এর ফলে বিপদ ঘটে যায়। শুভজিতের ক্ষেত্রেও সেরকমই কিছু ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

দিঘা-মন্দারমণিতে চুটিয়ে মাছ ভাজা খাওয়ার মজা ডেকে আনতে পারে মারাত্মক ক্ষতি, জানুন কী হতে পারে

এক সুতোয় গাঁথা পড়ল দিঘা,তাজপুর,মন্দারমণি, শঙ্করপুর, নতুন মেরিন ড্রাইভের আকর্ষণে পর্যকটদের ঢল দিঘায়

দিঘা-মন্দারমণি একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে, তবে ঘুরে আসুন দীঘার কাছেই থাকা এই জায়গায়