সংক্ষিপ্ত
শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই বিস্ফোরক দাবি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ডায়মন্ড হারবার আসনে ভোট বাতিলের দাবি তোলেন তিনি।
রাজ্যে সপ্তম ও শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই বিস্ফোরক দাবি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ডায়মন্ড হারবার আসনে ভোট বাতিলের দাবি তোলেন তিনি। তিনি বলেন, 'হরিয়ানা, বিহারে দেখতাম, শুনতাম। তবে এবার নতুন প্রবণতা দেখা গিয়েছে। যেখানে হিন্দুরা সংখ্যায় কম আছে, তাঁদেরকে বিভিন্ন জায়গায় আটকানো হয়েছে। এবং শেষপর্যন্ত কয়েক লক্ষ হিন্দু আজকে ভোট দান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যার বেশিরভাগ অংশটাই, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে।'
উল্লেখ্য, প্রায় একই দাবি তুলেছেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলিও। তিনি বলেন শুক্রবার রাতে চম্পাহাটি এবং আরও বেশ কিছু জায়গায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁর লোকজন হুমকি দিয়েছে। একজন বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও কোনও প্রকার পদক্ষেপ নেওয়া হল না, এগুলো নির্বাচন কমিশনের দেখা উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
অনির্বাণের কথায়, ‘এবার একটু নতুন প্যাটার্ন চোখে পড়ছে। হিন্দুরা যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানে তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরা যাতে ভোট দিতে না বেরোতে পারেন, সেই চেষ্টাটাই করা হচ্ছে‘। BJP প্রার্থীর সংযোজন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ভোটের একটা নেতিবাচক মডেল তৈরি হয়েছে। পেশি শক্তি, হুমকি দিয়ে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। সম্প্রদায় চিহ্নিত করে এই সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে’।
পাশাপাশি তার আরোও সংযোজন, “প্রচুর শাহজাহান হয়ে গিয়েছে। এদের পরিণতিটা শাজাহানের থেকেও খারাপ হবে। মমতা ব্যানার্জি এদের পাশে থাকবে না। নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে মারধর করা হয়েছে সন্দেশখালিতে বেছে বেছে এসসি মহিলাদের এবং বিজেপির মাইনরিটি মোর্চার লোকেদের মারধর করা হচ্ছে, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ বলেই সম্ভব। এবারে বিজেপিকে আটকানো হয়নি, বরং আটকানো হয়েছে হিন্দুকে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।