সংক্ষিপ্ত

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express Accident) পর থেকেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। এমনকি, যাত্রী সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহের মধ্যেই রেলগেটে নতুন এবং অত্যাধুনিক যন্ত্র বসাতে চলেছে রেল (Indian Railways)। 

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Kanchanjunga Express Accident) পর থেকেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। এমনকি, যাত্রী সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহের মধ্যেই রেলগেটে নতুন এবং অত্যাধুনিক যন্ত্র বসাতে চলেছে রেল (Indian Railways)। সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব সীমান্তের বিভিন্ন রেলগেটে এই যন্ত্র বসানো হবে। ফলে, গেটম্যানের সঙ্গে স্টেশনমাস্টারের কথোপকথন রেকর্ড করা যাবে।

গত সোমবারের রেল দুর্ঘটনার দায় আসলে কার? তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা আছে। প্রতিদিনই এই দুর্ঘটনা সংক্রান্ত নানান তথ্য সামনে আসছে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, এক জনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে অন্য জনের বয়ান। অসঙ্গতি পেলেই আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ চলছে।

এই ঘটনার তদন্ত করছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য সুরক্ষা কমিশনার। তিনি ইতিমধ্যেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক এবং গার্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এছাড়াও রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার ও গেটম্যান সহ একাধিক ব্যক্তিকে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করেছেন কমিশনার।

এখনও পর্যন্ত তদন্তে যা তথ্য উঠে এসেছে, তাতে একটি বিষয় পরিষ্কার যে দুর্ঘটনার দিন ভোর থেকেই অকেজো ছিল রাঙাপানি এবং চটেরহাটের মাঝে থাকা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা। যার ফলে ট্রেন পরিষেবা চলছিল মূলত কাগুজে অনুমতির ওপর ভিত্তি করেই।

কিন্তু গেটম্যান এবং স্টেশন মাস্টারের মধ্যে কী কথা হয়েছিল এবং কখন জানানো হয় সেই কথা, তা তদন্তের স্বার্থেই স্পষ্ট করে এখনই কিছু জানাচ্ছে না রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ওই গেটম্যান আদৌ সত্যি কথা বলছেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলকর্মীদেরই একাংশ। তাদের দাবি, ওই রেলগেটের গুমটিতে থাকা টেলিফোনে রেকর্ড করা কথোপকথন খতিয়ে দেখলেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। এ বিষয় নিয়ে উত্তর-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানান, “তদন্ত চলাকানীন কোনওকিছুই বলা সম্ভব নয়। তাই এই বিষয় নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছি না।”

উল্লেখ্য, বিভিন্ন রেলগেটের গুমটিতে থাকা টেলিফোনের সঙ্গে একটি বিশেষ ধরণের যন্ত্র লাগানো থাকে। রেল জানাচ্ছে, এই আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে টেলিফোন ‘স্টেবেলাইজেশন’করা হবে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য টেলিফোন পরিষেবা কখনোই বিচ্ছিন্ন হবে না। সেইসঙ্গে, গেটম্যানের ও স্টেশনমাস্টারের কথোপকথনও রেকর্ড করা থাকবে। এই যন্ত্র বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন সহ বিভিন্ন রেলগেটে থাকলেও সমস্ত রেলগেটে নেই। তাই এই যন্ত্র এখন সব রেলগেটগুলিতে বসানো হচ্ছে। ফলে, আগামীতে কোনও সমস্যা হলে সেই যন্ত্রের মাধ্যমেই সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ

'চালকদের ওপর চলে মানসিক নির্যাতন' বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মালগাড়ির সহ চালকের স্ত্রী

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।