সংক্ষিপ্ত

"তরুনী চিকিৎসককে গনধর্ষণ হত্যায় যুক্ত খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের ভাগনা" চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন অগ্নিমিত্রা পাল

তৃণমূলের এক সাংসদ ভাগনা আরজিকরের তরুণী চিকিৎসক গনধর্ষণ - হত্যায় জড়িত। চাঞ্চল্যকর দাবি আনলেন অগ্নিমিত্রা পাল।

তরুণীকে গনধর্ষণের পরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় আরজিকর হাসপাতালে। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কথাতেই আস্থা রাখতে পারছেন না কেউ। ইতিমধ্যেই সিপি গোয়েলকে পাশে রেখে তদন্ত ৭ দিনের মধ্যে শেষ করার ডেড লাইন দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েই ব্যপক প্রশ্ন উঠেছে। "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ কতটা ন্যায় বিচার চান" এই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এরপর বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল একটা চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন । তিনি দাবি করেন আরজি কর মেডিকেল কলেজের তরুনী চিকিৎসককে গনধর্ষণ হত্যায় যুক্ত খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের ভাগনা। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, "আশ্চর্যজনক যে কী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটা নিশ্চিত হতে পারে যে তার পুলিশ রবিবারের মধ্যে এই মামলাটি সমাধান করতে পারবে? তিনি কি জ্যোতিষশাস্ত্রীয় শক্তির উপর নির্ভর করছেন, নাকি অন্য কিছু আছে? ধর্ষণ এবং নৃশংস হত্যার যে জঘন্য অপরাধ ঘটেছে,তা সমাধানের জন্য কি মুখ্যমন্ত্রী কি আদেও ভাবছে ? নাকি আসলে তিনি কাউকে আড়াল চেষ্টা করছেন?"

এরপর অগ্নিমিত্রা পাল বলেন,"আরজি কর মেডিকেল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেই উল্লেখ রয়েছে যে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল সাংসদের ভাগ্নে সরাসরি জড়িত । সন্দেহজনকভাবে, সেই দিনে ডাঃ মাজি দুই ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন-এর পিছনে আসল স্বার্থ এবং উদ্দেশ্য কী ছিল? আমরা এই সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাই।

তিনি জানান,"  আমি জানতে চাই যে বিনীত গোয়েল তার সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরে এবং তিনি যে মিথ্যা ছড়িয়েছেন তার পরে তিনি কি পদত্যাগ করবেন? পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটি একটি আত্মহত্যা বলে দাবি করেছিল, কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এটি একটি ধর্ষণ ও খুন বলে উল্লেখ রয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় পুলিশ প্রথমে মিথ্যা বলে।এর থেকে এটাই স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, পুলিশ পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কীভাবে এই ধরনের গুরুতর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে তার এটি আরেকটি উদাহরণ। তদন্তে গাফিলতি করা এবং নিজেদের রক্ষা করার জন্য তৃণমূল সরকার নির্লজ্জ প্রচেষ্টা করছে। এই সরকার প্রতিনিয়ত দেখিয়েছে যে তারা নির্যাতিতদের বিচারের চেয়ে সত্য ধামাচাপা দিতে বেশি আগ্রহী।"