Haldia News: পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার সুতাহাটায় শাসক দল প্রবভাবিত শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ দুই অটোচালকের। অইটো রিকশা চালাতে না পেরে তাঁরা স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন।

DID YOU
KNOW
?
শাসক নেতাদের দাদাগিরি
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ নতুন নয়। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার সুতাহাটায় একই অভিযোগ উঠেছে।

Auto Rickshaw: পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার সুতাহাটায় অটো ইউনিয়নের চাপে চরম সংকটে দুই অটোচালক। অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস (AITC) প্রভাবিত অটো ইউনিয়নের দাদাগিরির জেরে নিজেদের নতুন কেনা ব্যাটারিচালিত অটো রাস্তায় চালাতেই দিচ্ছে না ইউনিয়নের একাংশ। ফলে রোজগার বন্ধ হয়ে পরিবার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন ওই দুই অটোচালক তাপস ঘোষ ও রেজ্জাক আলি। তাঁদের অভিযোগ, এর আগে তাঁদের দু'টি সিএনজি অটো ছিল। কিন্তু সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানির খরচ অত্যধিক হওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে দু’টি ব্যাটারিচালিত অটো কেনেন তাঁরা। নতুন অটো রাস্তায় নামানোর পরই শুরু হয় সমস্যার সূত্রপাত। অভিযোগ, সুতাহাটা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত অটো ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তাদের বারবার বাধা দেওয়া হয়।

থানায় অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি!

অটোচালকরা জানিয়েছেন, সুতাহাটা থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ সমস্ত পক্ষকে ডেকে আলোচনা করে বিকল্প রুটে অটো চালানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই বিকল্প রুটেও অটো চালাতে গেলে দুই চালককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানানো হলে আরও বিপদ হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন তাপস ও রেজ্জাক। এর জেরে নতুন অটো চালানো একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিমাসে ১০,৫০০ টাকা করে ব্যাঙ্কের ইএমআই পরিশোধ করতেও কঠিন সঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা। সংসার চালানোও হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য।

ইউনিয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ

অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, আইএনটিটিইউসি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার কোর কমিটির সদস্য শ্যামল মাইতির দুই অনুগামী তাঁদের মারধর করে অটো আটকে দিচ্ছেন। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সুতাহাটা অটো ইউনিয়নের সম্পাদক জানান, নতুন ব্যাটারি চালিত অটো রাস্তায় নামলে তাদের রোজগার কমবে। তাছাড়া, ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ না করেই অটো কেনার 'দায়' তাঁদের। তাই কোনওভাবেই ওই অটো চালাতে দেওয়া হবে না বলে। অন্যদিকে, শ্যামল মাইতি জানান, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না, খোঁজ নিয়ে দেখবেন। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেছে, শাসক দলের আশ্রয়ে স্থানীয় স্তরে ‘দাদাগিরি’ই এখন সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদনের পর প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।